1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সফল দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সপ্তাহান্তে একাধিক দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। পরমাণু অস্ত্র হতে পারে, আশঙ্কা অ্যামেরিকার।

https://p.dw.com/p/40Er7
উত্তর কোরিয়া
ছবি: Yonhap/picture alliance

সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে একাধিক দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা সফল হয়েছে। ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্দিষ্ট টার্গেট ধ্বংস করতে পারে ওই মিসাইল। সফল পরীক্ষার পরে মিসাইলগুলি সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। অ্যামেরিকার আশঙ্কা, মিসাইলগুলি পরমাণু পরীক্ষার অংশ হতে পারে।

গত কয়েকমাস ধরেই দেশের সামরিক শক্তি আরো শক্তিশালীর বিষয়ে জোর দিচ্ছেন কিম জং উন। কিছুদিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের বিজ্ঞানীরা একাধিক ব্যালেস্টিক মিসাইল তৈরি করেছে। যা উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি করেছে। এরপরেই গত মার্চ মাসে একটি কম পাল্লার ব্যলেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। যার জেরে অ্যামেরিকা আরো কিছু নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দেশটির উপর। এবার একাধিক দূরপাল্লার মিসাইলের পরীক্ষা হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন এলাকায় তারা এই পরীক্ষা করেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মিসাইলের শক্তি কতটা, তার সঙ্গে পরমাণু শক্তির যোগ আছে কি না, সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বস্তুত, এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ এ বিষয়ে কোনো কিছু সংবাদমাধ্যমকে বলতে চায়নি। তারা কেবল জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে তারা।

আরো নিষেধাজ্ঞা

উত্তর কোরিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে অ্যামেরিকা। এই পরীক্ষার পরে আরো নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বস্তুত, ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছিল অ্যামেরিকার। কিন্তু পরবর্তীকালে তা ভেস্তে যায়। জো বাইডেন যে দিন শপথগ্রহণ করেন, সেই দিন একটি ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করে বার্তা দিয়েছিলেন কিম জং উন। বাইডেনও উত্তর কোরিয়ার প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর কোনো চেষ্টা করেননি। তারপরেই সামরিক শক্তি বাড়ানোর প্রকল্প ঘোষণা করেন কিম।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)