1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সফল হয়েছে বিশ্বের প্রথম ‘মুখবদল’ অস্ত্রোপচার

২৫ এপ্রিল ২০১০

অপারেশন করে হৃদয় বদলানো যায়৷ কিডনি, লিভার, নিতম্ব এমনকি হাঁটু বা কনুইও৷ কিন্তু পুরোপুরি মুখ বদলে দেওয়া যায় কী? একদল স্প্যানিশ ডাক্তার সাফল্যের সঙ্গে সেরে ফেলেছেন সেই দুরূহ কাজ৷ বিশ্বে এই প্রথমবার৷

https://p.dw.com/p/N5hu
ফাইল ফটোছবি: DW / Almakhlafi

বদলে গেল সম্পূর্ণ মুখটাই৷ পাঁচ বছর আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিজের মুখটা খুইয়ে ফেলেছিলেন এক যুবক৷ তাঁকে থাকতে হত পুরো সময়টাই বিছানায়৷ খাবার খেতে হত টিউবের সাহায্যে৷ কথা বলতে পারতেন না ঠিক করে৷ অসুবিধা হত দেখতেও৷ তিরিশজন স্প্যানিশ ডাক্তারের একটি দল টানা ২৪ ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার চালিয়ে সেই যুবককে উপহার দিলেন একটি নতুন মুখ৷ যে মুখের চামড়া থেকে দাঁত, চোয়াল, অস্থি, মুখের প্রত্যেকটি মাংসপেশী এমনকি নাক, ঠোঁট সব সবকিছুই নতুন৷

গোটা বিশ্বে এই অপারেশন এই প্রথমবার৷ চিকিত্সক দলের মন্তব্য, অত্যন্ত জটিল ছিল এই অপারেশন৷

জটিল ছিল বটে তবে সম্ভব হয়েছে৷ এতদিন পর্যন্ত ভাবা হত, বোধহয় এমন ধরণের অপারেশন সম্ভবপর নয়৷ কিন্তু অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত সেই অবাস্তবকে বাস্তব করার পর সাফল্যের চওড়া হাসি স্প্যানিশ চিকিত্সকদের মুখে৷ মাদ্রিদের ভ্যাল ডি হেবরন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের মুখপাত্রী বিয়াংকা বোন্ট সংবাদসংস্থা এপি কে জানিয়েছেন, এর আগে মুখের বিভিন্ন অংশ প্রতিস্থাপনের মোট দশটি অপারেশন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে৷ কিন্তু সম্পূর্ণ মুখটাকেই বদলে ফেলা এই প্রথম বার সম্ভব হল৷ বিয়াংকা জানান, অপারেশন করা হয়েছে গত তিরিশে মার্চ৷ কিন্তু এতদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল রোগীকে৷ অবশেষে অপারেশনের সাফল্যের বিষয়ে একশোভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরেই চিকিত্সকেরা এই সাফল্যের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন৷

তিরিশজন চিকিত্সকের ওই বিশেষ দলটির প্রধান খুয়ান পিয়ের ব্যারেট সাংবাদিকদের জানান, নিজেকে আয়নায় দেখে, স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে, খাওয়া দাওয়া করে এবং কথা বলে নিজের কাছেই ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য ঠেকছে ওই যুবকের৷

তা তো হবেই৷ কারণ, এক অবিশ্বাস্য ঘটনাই তো ঘটে গেছে তাঁর জীবনে৷ মিরাকল ছাড়া আর অন্য কোন ভাষাতেই বা এর ব্যাখ্যা করা যায় বলুন!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারুক