1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবচেয়ে ‘গরম’ বছর ২০১৬

৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

১৮৮০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হচ্ছে৷ প্রাক-শিল্পায়নের যুগ থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ গড় বাৎসরিক তাপমাত্রায় ২০১৬ সাল ২০১৪ ও ২০১৫-কেও ছাড়িয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/2V33m
Eisbär auf kleinen Eisscholle
ছবি: picture-alliance/H. Bäsemann

মার্কিন ন্যাশনাল ওসিয়্যানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস অবধি স্থল ও সমুদ্রের উপর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কিনা ২০১৫ সালের একই সময়কালের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ছয় ডিগ্রি বেশি৷

ওয়ার্ল্ড মেটিরিওজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডাবলিউএমও) একই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে৷ তারা জানাচ্ছে, ২০১৬ সাল ইতিহাসে নথিবদ্ধ সবচেয়ে গরম বছর হতে চলেছে৷ জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা কিনা উনবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি শিল্পবিপ্লব শুরু হবার সময় থেকে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি৷ ডাবলিউএমও'র তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সাল অবধি বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷

সুমেরুর বরফ সরে যাচ্ছে

উত্তর মেরু অঞ্চলে বিশেষ করে তাপমাত্রা বাড়ছে, যার ফলে তুষারের আস্তরন নাটকীয়ভাবে কমে যাচ্ছে৷ এনওএএ'র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সুমেরুতে জমির উপর গড় তাপমাত্রা ছিল বিংশ শতাব্দির সূচনার তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি৷ মার্কিন ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডাটা সেন্টার জানিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে সুমেরুর বরফের আস্তরণ ছিল গত ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম৷ ২০১৬-র নভেম্বরে সুমেরুর তুষার আস্তরণের পরিধি ছিল প্রায় ৯১ লাখ বর্গমিটার, যা কিনা ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল অবধি নভেম্বরের মাঝামাঝি সুমেরুর বরফের আস্তরণের তুলনায় প্রায় ২০ লাখ বর্গমিটার কম৷

Globale Meeres- und Erdoberflächen-Temperaturanomalien von 1880 - 2016 in °C Infografik EN

সুমেরুর বরফ সূর্যকিরণ প্রতিফলন করতে পারছে না বলে সাগরের পানির তাপমাত্রা বাড়ছে৷ সুমেরু অঞ্চল ও বেরিং সাগরে ঝড়ের প্রকোপ বাড়ছে৷ আরো দক্ষিণে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ডতা৷

আবহাওয়ার দুর্যোগ আরো বাড়বে

তার অনেক কারণের মধ্যে একটি হলো, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি, যার ফলে উষ্ণায়নের গতিবেগ বাড়ছে৷ এনওএএ'র বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাক-শিল্পায়ন যুগে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ২৮০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন); ২০১৫-য় সেটা দাঁড়িয়েছে ৪০০ পিপিএম-এ - যা কিনা আবার ২০১৪ সালের চেয়ে ২ দশমিক ২ পিপিএম বেশি৷

আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে বাতাসে যে পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড রয়েছে, তার ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা আগামী কয়েক দশক ধরে বাড়তেই থাকবে৷ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন এই হারে চলতে থাকলে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে দেড় কিংবা দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা অলীক হয়ে পড়বে৷

জার্মানির পট্সডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট রিসার্চের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, বিশ্বের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বাড়লে সাগরের পানির উচ্চতা দুই থেকে তিন মিটার বাড়বে - ২৩০০ সালের মধ্যে৷ তার ফলে গ্রিনল্যান্ডের বরফের আস্তরণ গলতে পারে, যার ফলে ছোট ছোট দ্বীপ ও উপকূলের সব শহর-বন্দর ডুবে যাবে৷

দু' ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা বাড়লে উত্তর গোলার্ধের সব স্থায়ী বরফ গলে যাবে৷ এর ফলে সাগরের পানি আরো বাড়বে৷

প্রতিবেদন: গেরো রুইটার/এসি
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য