1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবচেয়ে বয়সী টুইটকন্যার বিদায়

৩১ জুলাই ২০১০

চলে গেলেন আইভি বিন৷ ১০৪ বছর বয়সে৷ এমন অনেকেই যায়৷ কিন্তু আইভি নিয়ে এত আলোচনা কেন? কারণটা তিনি নিজেই৷ বছর দুয়েক আগে টুইটারে যখন যোগ দেন আইভি, তখন তাঁর বয়স ছিল ১০২ বছর৷

https://p.dw.com/p/OYx7
নানা বার্তায় টুইটারের বন্ধুদের মাতিয়ে রাখতেন আইভি

আইভি বিন এর বেড়ে ওঠার জমানায় সবচেয়ে দ্রুত যে প্রযুক্তি ছিল সেটা টেলিগ্রাম৷ আর ছিল বার্তাবাহী পায়রা৷ সেই জমানার এই নারী যখন ১০২ বছর বয়সে টুইট শুরু করলেন, তখন তা বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম না হয়ে উপায় কী!

তবে, আইভি'র শুরুটা ফেসবুক দিয়ে৷ কিন্তু দেখা গেলো দিক কয়েকের মধ্যেই বন্ধু'র কোঠা মানে ৫০০০ সংখ্যাটি পূরণ হয়ে গেছে৷ অথচ আরো অন্তত ২৫০০০ মানুষ আইভি'র বন্ধু হবার প্রতিক্ষায় ফেসবুকে৷

কী আর করা৷ বন্ধু বা অনুসারীর সীমাবদ্ধতা না থাকায় ফেসবুক ছেড়ে টুইটারে যোগ দেন আইভি৷ সংক্ষিপ্ত বার্তা প্রেরণের এই সেবা ব্যবহার করে মজাও পান৷ তাঁর টুইটার বন্ধুদের জানাতে থাকেন কি খাচ্ছেন, টিভিতে কি দেখছেন এমনকি রোদ্রস্নান করার পর তাঁর অনুভূতি৷

আইভি'র এই টুইটার প্রীতির খবর রাখতেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও৷ তাইতো গত বছর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ডাক পড়ল তাঁর৷ সেখান থেকে বেরিয়ে আইভি'র টুইট, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত টয়লেট ব্যবহার করেছি৷

এভাবেই টুইটারের বন্ধুদের মাতিয়ে রাখতেন আইভি৷ সেখানে এখনও আছেন বন্ধুরা, সব মিলিয়ে ৬২,৯১১ জন৷ কিন্তু নেই আইভি৷ ২৮ তারিখ আইভি'র দিক থেকেই এলো সেই চরম বার্তা৷ আইভি সকাল ১২.০৮ ঘটিকায় চিরনিদ্রায় চলে গেছেন৷

গত দুই সপ্তাহ ধরে আইভি'র টুইটার অ্যাকাউন্টটি দেখাশুনা করেছেন তাঁরই রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পেট রাইট৷ আইভি'র জীবনের শেষদিনগুলোর খবর জানাতেন পেট, লিখেও দিতেন আইভি'র হয়ে৷

বলে রাখা ভাল, আইভি'র জন্ম ১৯০৫ সালে৷ মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে মিলে কাজ নেন তিনি৷ এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিয়ে করেন এক সেনা বাবুর্চিকে৷ জীবনের শেষ দিনগুলো আইভি পার করেন নার্সিং হোমে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়