1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত কোন পর্যায়ে?

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পাঁচ বছরেও সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো কুলকিনারা হয়নি৷ তদন্ত কর্মকর্তা জানালেন, হত্যাকাণ্ডকে রহস্যাবৃত করে রেখেছে অনেকগুলো প্রশ্ন৷ উত্তর খোঁজা হচ্ছে৷ উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তদন্ত চলবে৷

https://p.dw.com/p/2XL4t
Bangladesch Dhaka Ausstellung Jahrestag Mord an Sagar und Runi
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, র‌্যাবের এএসপি মহিউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘মামলাটির অনেক দিক আছে ৷ পাঁচ বছর হয়েছে সত্য, তবে আমরা বসে নেই৷ আমরা অপরাধীদের চিহ্নিত করার ব্যাপারে আশাবাদী৷ আর সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলে তবে তদন্ত শেষ হবে৷’’

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজারবাগের বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি৷ হত্যাতান্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের একমাত্র শিশু সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ৷ ঘটনার পরপরই তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘন্টা সময়সীমা পার হওয়ার পর ১৩ ফেব্রুয়ারি তখনকার আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘‘এ জোড়া হত্যাকান্ডের তদন্তের ‘প্রনিধানযোগ্য’ অগ্রগতি হয়েছে৷’’ কয়েকদিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি তখনকার ডিসি ডিবি ও ডিএমপি’র মুখপাত্র এবং বর্তমানে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হয়েছেন৷ দ্রুততম সময়ে আসামীদের গ্রেপ্তার করে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু ৪৮ ঘন্টাতো দূরের কথা, পাঁচ বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই৷

ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে বাসার দারোয়ানসহ কয়েকজনকে করা হয়েছিল৷ সেই পর্যন্তই৷ আদালতের নির্দেশে এখন র‌্যাব মামলাটি তদন্ত করছে৷

এ নিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সঙ্গে শুক্রবার সারাদিন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি৷ তাঁর সেল ফোন সচল থাকলেও কেউ ধরেনি৷ বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও ফোনে পাওয়া যায়নি৷ তবে তিনি বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাকিদের বলেছেন, ‘‘এই মামলার তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আমার কিছু জানা নাই৷’’

গত ৮ ফেব্রয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার তদন্ত অগ্রগাত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু র‌্যাব প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ তাই আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে ২১ মার্চ আদালতে তলব করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে৷ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে র‌্যাব এ পর্যন্ত ৪৬ বার সময় নিল৷

তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি মহিউদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘আমরা ২১ মার্চ তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি৷ আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছি৷ আশা করি, এবার প্রতিবেদন দিতে পারব৷’’

তদন্তে আদৌ কোনো অগ্রগতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘অগ্রগতি আছে৷ এই হত্যাকাণ্ডটির নানা দিক আছে৷ আমরা সব দিক যাচাই-বাছাই করে দেখছি৷ আমরা আশাবাদী যে অবশ্যই অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারব৷’’

সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অপরাধী চিহ্নিত করা গেছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিক, অনেক বিষয় দেখতে হচ্ছে৷ আমরা আশাবাদী৷ আমরা চিহ্নিত করতে পারব৷’’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ডিএনএ টেস্টের তথ্য ধরেও আমরা কাজ করছি৷ সেখান থেকেও আমরা মামলার তদন্ত সহায়ক তথ্য পাচ্ছি৷ মামলার তদন্তে সাগর-রুনির পরিবারের সদসরাও সহায়তা বরছেন৷’’

আশা করি, এবার প্রতিবেদন দিতে পারব: তদন্ত কর্মকর্তা

তদন্ত কবে শেষ হতে পারে?

তদন্ত কর্মকর্তা জানার, ‘‘অনেক প্রশ্ন আছে৷ সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলে তদন্ত শেষ হবে৷ অনেক ছায়া আছে সেগুলো তো আমাদের ক্লিয়ার করতে হবে৷ অনেক পয়েন্ট আছে৷ নতুন নতুন ইস্যু আসছে সেগুলোও পরিস্কার করতে হচ্ছে৷’’

এর আগে রুনির ভাই, মামলার বাদি নওশের রোমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তদন্ত কর্মকর্তা এখন আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না৷ ফলে মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা জানিনা৷ আমরা আশাহত৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলেন, তাঁর কাছে তদন্তের অগ্রগতির কোনো খবর নাই৷ তাই আমার মনে হচ্ছে, মামলাটির এখন আর তদন্ত হচ্ছে না৷’’

সাগরের মা সালেহা মনিরও ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এখনো আশাবাদী যে সরকার চাইলে আমার সন্তানের খুনিরা ধরা পড়বে৷আমি আমার সন্তানের খুনিদের দেখতে চাই৷’’

প্রিয় পাঠক, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী? জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে... 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান