‘সমকামিতা এক ধরনের ব্যভিচার ও সামাজিক অনাচার' | পাঠক ভাবনা | DW | 12.09.2018
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

 ‘সমকামিতা এক ধরনের ব্যভিচার ও সামাজিক অনাচার'

সমকামীদের যৌন সম্পর্ককে বৈধতা দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত৷ এ বিষয়ের প্রতিবেদনটি পড়ে ফেসবুক পাতায় এক পাঠক লিখেছেন, ‘‘সমকামিতা এক ধরনের ব্যভিচার ও সামাজিক অনাচার৷'' অনেকেই এ বিষয়ে একমত৷ কিন্তু আসলে কি তাই?

প্রতিবেদনটির শিরোনাম,‘সমকামিতা নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কি বদলাবে?' তা পড়ে পাঠক মিজানুর রহমান শাহীনের প্রশ্ন, ‘‘ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে কেন? মানুষ কি দিনে দিনে অসভ্য, বর্বর হচ্ছে? আধুনিক এবং প্রগতিশীল বলতে কি বিকৃত রুচির সব কাজকে বৈধতা দেওয়া বা মন যা চায় তাই করার স্বাধীনতাকে বোঝায়?''

আর পাঠক জিল্লুর রহমানের মতামত এরকম, ‘‘আমি মনে করি, সমকামিতা এক ধরনের ব্যভিচার ও সামাজিক অনাচার৷ আমার জানা মতে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, ইহুদি ইত্যাদি কোন ধর্মই সমকামিতাকে সমর্থন করে না, কারণ, এটি সামাজিক মুল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থি৷''

 ‘‘বিকৃত যৌনাচার ‘সমকামিতা'কে বৈধতা দিয়েছে ভারতের আদালত৷ ঘৃণা জানাই এই ভ্রষ্ট রায়ের প্রতি৷তার চেয়ে বেশি ঘৃণা জানাই আমাদের দেশের এক শ্রেণির মিডিয়ার প্রতি, যারা এই সংবাদকে এ দেশে ইতিবাচকভাবে দেখানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত৷'' এ মন্তব্য আরিফ মোহাম্মদের৷

তবে মুন্না বলছেন, ‘‘জরিপ কিভাবে হয়েছে জানি না, তবে এই সংবাদের কমেন্টে কেউ ভালো কিছু বলেনি! এমনকি সবারই মত হচ্ছে, এটা করা ঠিক

 হয়নি! '' 

 ‘‘এটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসামাজিক,'' বলে মনে করেন আশরাফ হোসেন৷

‘‘সমকামিতা তো পশুদের মধ্যেও নাই, ওরা তো স্বাধীন৷ এর মানে পশুর চাইতেও খারাপ হতে চাচ্ছে মানুষ,'' লিখেছেন সুলতান আহমেদ চৌধুরী৷

তবে পাঠক উজান চাই  মনে করেন, ‘‘মানুষের, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করা উচিত৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা আশীষ চক্রবর্ত্তী