1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমালোচনার মুখে মেহেরজান

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১

‘মেহেরজান-একটি যুদ্ধ ও ভালোবাসার কাহিনী’৷ এখানে যুদ্ধ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ৷ আর ভালোবাসা বলতে বোঝানো হচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে বাঙালি এক নারীর ভালোবাসা৷

https://p.dw.com/p/10KjS
মেহেরজান ছবির একটি দৃশ্যছবি: Era Motion Pictures Ltd.

মেহেরজান ছবিতে আরও দেখানো হয়েছে, ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগ, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বীরাঙ্গনা, ধর্ষণ এবং সমকামিতার প্রসঙ্গ৷ আর এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ভিক্টর বন্দোপাধ্যায় এবং অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া বচ্চনের মতো নামকরা শিল্পীরা৷ জানুয়ারির ২১ তারিখে বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তি পায় ‘মেহেরজান'৷ কিন্তু সমালোচনার মুখে মুক্তির সপ্তাহ খানেকের মাথায় হল থেকে সিনেমাটি উঠিয়ে নেয় পরিবেশক প্রতিষ্ঠান আশীর্বাদ চলচ্চিত্র৷ যদিও সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই দর্শকদের জন্য প্রেক্ষাগৃহে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মেহেরজান৷

Meherjaan Bangladesch 2011
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া বচ্চনছবি: Era Motion Pictures Ltd.

মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন ওয়েব সাইট, বাংলা ব্লগ ও ফেসবুকে ছবিটিকে ঘিরে শুরু হয় সমালোচনা৷ বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই আপত্তি জানিয়ে মানব বন্ধন করেন৷ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান পত্রিকার মাধ্যমে৷ আর এইসব সমালোচনার জবাবে নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন ছবিটির উদ্দেশ্য বর্ণনা ও বিশ্লেষণ করেন পত্রিকাতে৷ সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো মুক্তিযুদ্ধ৷ এক পাকিস্তানি সৈনিকের সঙ্গে বাঙালি নারীর প্রেম দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করা হয়েছে বলে দাবি সমালোচকদের৷ তবে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও ছবিটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে তেমন জোরালো দাবি তুলেননি কেউ৷

বাংলা ছবির জনপ্রিয় পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম এই ছবিটি সম্পর্কে বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেন,‘‘এইরকম একটি ভালো ছবি নিয়ে এতো বিতর্ক আসলেই দুঃখজনক৷ আমরা গণতান্ত্রিক একটি দেশে বাস করি৷ এবং প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে নিজেদের মতো গল্প বলার৷''

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম