1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সম্ভাব্য টিকা নিয়ে উত্তপ্ত অ্যামেরিকার প্রচারণা

৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নির্বাচনের আগেই করোনা টিকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে জোরালো সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ তিনি উলটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন৷

https://p.dw.com/p/3i8ij
ছবি: H. Pennink/AP Photo/picture-alliance

অ্যামেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য টিকাকে কেন্দ্র করে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্বও তত বাড়ছে৷ ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগেই সেই টিকা মার্কিন জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর৷ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই তিনি এমন এক ‘অবাস্তব’ পরিকল্পনা কার্যকর করার চেষ্টা করছেন বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে৷ ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’ নামের এক কর্মসূচির আওতায় তিনি আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৩০ কোটি করোনাভাইরাস টিকা মজুত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন৷ সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ট্রাম্প কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে জুয়া খেলছেন বলে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

ডেমোক্র্যাট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস সোমবার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এমন টিকা বিতরণের পরিকল্পনা সম্পর্কে গভীর সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তিনি ট্রাম্পের বক্তব্যের উপর ভরসা করেন না৷ একমাত্র গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা এমন আশ্বাস দিলেই তিনি সেই সম্ভাবনার কথা বিশ্বাস করবেন৷

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনও টিকার প্রশ্নে বিজ্ঞানীদের রায়ের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন৷ সত্যি টিকা আবিষ্কার হলে তিনিও যত দ্রুত সম্ভব সেই টিকা অ্যামেরিকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার পক্ষে সওয়াল করেন৷ এমনকি এর ফলে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতেও তিনি প্রস্তুত৷

ট্রাম্প অবশ্য এমন অভিযোগ না মেনে উলটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন৷ নিজের বক্তব্য অস্বীকার করে তিনি বলেন, যে তিনি মোটেই নভেম্বেরের মধ্যে টিকা আবিষ্কারের দাবি করেন নি৷ তার আগেই সেই টিকা প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে৷ সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, নিরাপদ ও অত্যন্ত কার্যকর এই টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে৷ বিরোধীদের সংশয়কে তিনি বিপজ্জনক হিসেবে তুলে ধরেন৷ বিশেষ করে কমলা হ্যারিসের মন্তব্যকে ‘বেপরোয়া ও টিকা-বিরোধী বুলি’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি৷ ট্রাম্প বলেন, মানুষ যাতে সেই সাফল্যকে বড় করে না দেখতে পারে, সে কারণে হ্যারিস টিকার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছেন৷ জো বাইডেন-কে ‘স্টুপিড’ হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইরাসের কাছে দেশকে আত্মসমর্পন করাতে চাইছেন৷

ট্রাম্প প্রশাসনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্টনি ফাউচি গত সপ্তাহে সিএনএন-কে বলেন, অক্টোবর মাসেই করোনার টিকা ছাড়পত্র পেতে পারে বলে তিনি মনে করেন৷ তাঁর মতে, অ্যামেরিকার মানুষের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর না হলে এমন টিকা মোটেই ছাড়পত্র পাবে না৷ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান স্টিফেন হান একই আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, যে টিকার মূল্যায়নে কোনো ত্রুটি রাখা হবে না৷ তবে গোটা প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে৷

এসবি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)