শান্তিপূর্ণ আর কতদিন?
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪
বিএনপি ঈদের পরে সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগবান করার কথা বললেও, রোজার ঈদের পর এবার কোরবানির ঈদও এসে গেল৷ তাই এখন বিএনপি বলছে, কোরাবানির ঈদের পর তারা কঠোর আন্দোলনে নামবে৷ কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো, বিএনপি আবারো বিদেশিদের সহায়তায় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে৷ আর এ জন্য নানা তত্পরতা চালাচ্ছে তারা৷
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলের কাছে স্বীকার করেন যে, বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল গত জুলাই মাসে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সঙ্গে দেখা করেছে৷ এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গেও সাক্ষাত্ করেছেন দলের নেতারা৷ আরো আরেকটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে চীনে৷ এর বাইরে বিদেশ থেকে যাঁরা ঢাকায় এসে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের কাছে মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলেছেন জিয়া৷
তবে দুদু দাবি করেন, আন্দোলন ছেড়ে দিয়ে এটা বিএনপির বিদেশমুখীতা নয়৷ এটাকে একটি বড় দলের কূটনৈতিক তত্পরতা হিসেবে দখতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘৫ই জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী অবস্থা বিদেশি বন্ধুদের জানানো আমাদের দায়িত্ব৷ কারণ এখন বিশ্বায়নের যুগ৷ আর সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়৷''
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘‘বিএনপি অবশ্যই দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘অ্যাকশনধর্মী' আন্দোলনে যাবে৷ হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও কর্মসূচি অবশ্যই দেবে বিএনপি৷ কিন্তু তার আগে দলকে শক্তিশালী করা জরুরি৷''
তাঁর কথায়, ‘‘৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার অবৈধ সরকার৷ ফলে নেত-কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন৷ এখন আবার মামলা চাঙ্গা করে নেতা-কর্মীদের দমন করা হচ্ছে৷'' তিনি বলেন, দল অতীতে এত বড় ক্ষতির মুখে কখনো পড়েনি৷ তাই দল গোছাতে আরো সময় লাগবে৷
এদিকে বিএনপির তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা এখনো কাটেনি৷ তাঁরা আদতেই জানেন না যে বিএনপি আসলে কোন দিকে যাচ্ছে৷ আদৌ এই সরকারকে পাঁচ বছরের আগে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে কিনা৷ তবে দুদু বলেন, ‘‘সময় এলে এই সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে৷''