1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সরকার গোঁয়ারতুমি করছে'

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৬ জানুয়ারি ২০১৭

‘সুন্দরবন বাঁচাও' – এই দাবিতে আধাবেলার হরতাল ডেকেছিল তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি৷ কিন্তু হরতাল চলাকালে পুলিশি হামলা হলে, তার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ৷

https://p.dw.com/p/2WS1n
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে এক প্রতিবাদকারীর ওপর পুলিশি অত্যাচার
ছবি: bdnews24.com

সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে পূর্ব ঘোষিত এই হরতাল কর্মসূচি পালন করা হয় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত৷ হরতাল চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকা, শাহবাগ, আজিমপুরে সকাল থেকেই হরতালের সমর্থকরা অবস্থান নেন৷ যান চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ৷ হরতালের সমর্থনে বেশ কয়েকটি স্থানে মিছিলও করতে দেখা যায়৷ তবে এ সমস্ত এলাকাতে আগে থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল৷

হরতালকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শাহবাগে জলকামান ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে পুলিশ৷ এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হন৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ সকাল থেকেই হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং জলকামান ব্যবহার করে৷

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

এদিকে হরতাল চলাকালে শাহবাগ থানার সামনে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান আব্দুল আলীম ও রিপোর্টার এহসান বিন দিদারকে মারধর করে পুলিশ৷ পরে অবশ্য এর জন্য দায়ী শাহবাগ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক এরশাদকে সাসপেন্ড করা হয়৷

পল্টন, প্রেসক্লাব ও শাহবাগ এলকাতেই হরতাল সমর্থকদের তৎপরতা বেশি ছিল৷ তাই প্রেসক্লাব ও শাহবাগ এলকায় যানবাহন চলাচল ছিল বন্ধ৷

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘‘সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে৷ তাই তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা চালিয়েছে৷ আটক করেছে অন্তত ১৫ জনকে৷ এখনো শাহবাগ থানায় পাঁচজনকে আটক রাখা হয়েছে৷''

তিনি জানান, ‘‘আমরা আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবো৷ সরকার কোনোভাবেই জনদাবি উপেক্ষা করতে পারবে না৷ সরকারকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে আসতেই হবে৷ আমরা আট বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি৷ যুক্তি-তর্ক এবং তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সরকারকে সে কথা বলেছে৷ কিন্তু তারপরও সরকার গোঁয়ারতুমি করছে৷''

সুন্দরবনের পাশে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবিতেই ‘সুন্দরবন বাঁচাও' নামে এই হরতাল কর্মসূচি পালন করা হয়৷ বিএনপি, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠন বিবৃতি দিয়ে এই হরতালে সমর্থন জানায়৷

বন্ধু, এ বিষয়ে আপনার কি কিছু বলার আছে? তাহলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান