1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারি অর্থ চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত চার ব্রিটিশ রাজনীতিক

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ব্রিটেনের আইনসভার চার সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়ের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হচ্ছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদন্ড হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/LuHP
ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সছবি: AP

বেশিরভাগ সরকারি এমপি

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে তিনজনই হলেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির৷ তাঁরা হলেন ব্রিটিশ হাউস অব কমন্স এর সদস্য এলিয়ট মোরলে, জিম ডিভাইন ও ডেভিড শেয়টর৷ অপরজন হলেন হাউস অব লর্ডস এর কনজারভেটিভ পার্টির পল হোয়াইট যিনি লর্ড হ্যানিংফিল্ড নামেই পরিচিত৷

সারকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল

চারজন এমপির বিরুদ্ধেই ১৯৬৮ সালের থেফট এ্যাক্ট অর্থাৎ চুরির আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ এর আগে বৃহস্পতিবার সাবেক সরকারি কর্মকর্তা থমাস লেগ এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানান যে ওই চার রাজনীতিক সরকারের ১১ লাখ পাউন্ড অপচয় করেছেন৷ এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এলিয়ট মোরলের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ রয়েছে৷ তার মধ্যে একটি হল তিনি বন্ধক দেওয়ার কথা বলে ১৬ হাজার পাউন্ড নিয়েছেন৷ ডেভিড শেয়টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনটি৷ এর মধ্যে তিনি লন্ডনে নিজের একটি জমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও মিথ্যা বলে ১৩ হাজার পাউন্ড ভাড়া তুলেছেন৷ অপরজন জিম ডিভাইন বাড়ি পরিষ্কার এবং প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কেনার নাম করে হাজার হাজার পাউন্ড অপচয় করেছেন৷ আর লর্ড হ্যানিংফিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবেচেয়ে বেশি মোট ছয়টি৷ এর মধ্যে একটি হল তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করে লন্ডনের হোটেল ভাড়া তুলেছেন সরকারের কাছ থেকে৷

House of Lords
হাউস অব লর্ডসছবি: AP

শুক্রবার ব্রিটিশ প্রসিকিউসন অফিসের পরিচালক কেইর স্টার্মার বলেন, চারজনের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানোর পর তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার মত যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তবে এখন পর্যন্ত এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চারজনই৷

নির্বাচন উপলক্ষে শুদ্ধি অভিযান

উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে ব্রিটিশ এমপিদের সরকারি অর্থ যথেচ্ছ ব্যয়ের ঘটনা প্রকাশিত হয়৷ প্রায় সব এমপির বিরুদ্ধেই এই অর্থ ব্যয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়৷ এরপর থেকেই সরকারের ওপর জনমতের ভীষন চাপ সৃষ্টি হয়৷ আগামী জুন মাসের নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই দলে শুদ্ধিকরণ অভিযান শুরু করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন৷ শুক্রবার অভিযোগ দায়েরের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ৷ তিনি বলেন, কয়েক মাস আগেই এসব লোকদের লেবার পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনের দাঁড়ানোর সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ অপরদিকে লর্ড হ্যানিংফেল্ডের কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়