1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারি বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে

২ জুলাই ২০২০

কয়েক মাস আগে তাঁর এসপিজি সুরক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বার সরকারি বাংলোও ছাড়তে বলা হলো প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে।

https://p.dw.com/p/3efK5
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R.K. Singh

দিন কয়েক আগে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বলেছিলেন, তিনি ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি। অন্য কিছু বিরোধী নেতার মতো বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র নন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত বহুজন সমাজবাদী পার্টি নেত্রী মায়াবতীকে লক্ষ্য করেই এই অভিযোগ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।

এ বার সেই প্রিয়ঙ্কা আরেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন। তাঁর কাছে সরকারি নির্দেশ এসে গিয়েছে, ১ অগস্টের মধ্যে সরকারি বাংলো খালি করে দিতে হবে, না হলে প্রচুর জরিমানার মধ্যে পড়বেন তিনি।

প্রিয়ঙ্কা সাংসদ নন, দলের সভাপতিও নন, কোনও সরকারি উঁচু পদও তাঁর নেই। তা সত্ত্বেও গত ২৩ বছর ধরে ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি যে দিল্লিতে সরকারি বাংলোতে আছেন, সেটা সুরক্ষার কারণে। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর পরিবারের সবাইকে এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তাই বিয়ের পর প্রিয়ঙ্কাও এসপিজি নিরাপত্তার কারণেই সরকারি বাংলো পেয়েছেন। তিনি সৈনিক ফার্মে রবার্টের বাড়িতে যেতে চাইলেও এসপিজি তা মানেনি। এসপিজি সুরক্ষা সরে যাওয়ার পর তিনি আর সরকারি বাড়ি পাওয়ার অধিকারী নন। তাই এই নোটিশ।

অবশ্য বিজেপি-র দুই প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর জোশীও আর সাংসদ নন। ২০১৯-এ তাঁদের প্রার্থী করা হয়নি। তাঁরা কোনও সরকারি পদেও নেই। তাঁদের এসপিজি সুরক্ষাও নেই। তা সত্ত্বেও তাঁরা সরকারি বাংলোতে আছেন। সূত্র জানাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে কোনও মন্ত্রী বা প্রবীণ সাংসদের নামে বাংলো থাকলে তিনি যদি তা দিয়ে দেন, তা হলে তাঁরা থাকতে পারেন।

তবে প্রিয়ঙ্কা বা কংগ্রেস এই সব প্রশ্নের মধ্যে এখনও যায়নি।  তাঁরা এই প্রশ্নও করেনি, এসপিজি সুরক্ষা সরিয়ে নেওয়ার সময়ই কেন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিল না মোদী সরকার। প্রিয়ঙ্কা বরং দিল্লি ছেড়ে লখনউতে বাড়ি নিয়ে থাকতে চাইছেন। কারণ, গান্ধী পরিবার তথা কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত, প্রিয়ঙ্কা উত্তর প্রদেশ সামলাবেন। সেখানে দলকে চাঙ্গা করবেন। সেই লক্ষ্য নিয়ে গত বছর দেড়েক ধরে প্রিয়ঙ্কা এগোচ্ছেন। কিন্তু কংগ্রেসকর্মীরা মনে করেন, প্রিয়ঙ্কা কোনও বিষয় নিয়ে কিছুটা হইচই করে চুপ হয়ে যান। তাঁকে আর পাওয়া যায় না। তাছাড়া দিল্লিতে বসে উত্তর প্রদেশের রাজনীতি করা যায় না।

তাই তিনি লখনউতেবাড়ি নিতে চান। সেখানে থেকে যোগীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান। আর গান্ধী পরিবারের দুই খাসতালুক আমেঠি ও রায়বেরিলিকেও রক্ষা করতে চান। গত ভোটে আমেঠি হাতছাড়া হয়েছে। রাহুল হেরেছেন। এ বার আমেঠির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশে দলকে চাঙ্গা করার কাজটা মন দিয়ে করতে চান প্রিয়ঙ্কা।

কাজটা খুবই কঠিন। উত্তর প্রদেশে দলের সংগঠন বলে প্রায় কিছুই নেই। নেতারা এখনও কিছু অবশিষ্ট আছেন। তবে মূলত নিষ্ক্রিয়। অবশ্য এটাও ঠিক, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব যেমন বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর মাঠে নেমে আন্দোলন বা প্রতিবাদ খুব একটা করছেন না। সেখানে একা প্রিয়ঙ্কাকেই দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদ করতে। ফলে বিরোধীদের জমিটা খালি আছে। সেই জমি দখল করার কাজটা করতে চান তিনি।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই,টিওআই)