‘সরকারের পায়ের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে' | পাঠক ভাবনা | DW | 16.09.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘সরকারের পায়ের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে'

ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠকরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন৷ এছাড়া তাঁরা সরকারের যে সমালোচনা করেছেন ও মন্তব্য দিয়েছেন, তা তুলে ধরা হলো আজকের ‘পাঠক ভাবনা'-তে৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু সাকিব আল-হাসান ভ্যাট প্রত্যাহার করার আগে তাঁর মতামত জানিয়েছিলেন এভাবে৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘‘দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হলে দেখা যায় যে, একটা আসনের জন্য কম পক্ষে ৩৫-৩৯ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষ দেয়৷ চলতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনে প্রতি ৩৯ জন ছাত্র -ছাত্রী পরীক্ষা দেবে৷ এ সব দিক লক্ষ্য না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে সরকার৷ আসন প্রতি ৩৫-৩৯ জন ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার কারণে শতকরা ৮০ শতাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না৷ আর তখন তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তি হয়৷ কেন আজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশুনা নষ্ট করতে চায় সরকার? তারা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিটি জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেন না কেন? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ৭ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করো, তা না হলে অতীতে (১৯৫২,১৯৬৭, ১৯৭১, ১৯৯০ সালে) সরকারদের যে অবস্থা হয়েছে আপনাদের বেলাতেও তা হবে৷

ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি মেনে নেওয়ায় খুশি বন্ধু আতিক রহমান৷ তবে তাঁর মন্তব্য একটু অন্যরকম৷ তাঁর মতে, ‘‘বিষয়টি গাধা যে জল ঘোলা করে খায়, এটা তার বড় প্রমাণ৷ একদিন এক মোরুগ তার মুরগির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য উঠে পড়ে লাগলো৷ কিন্তু মুরগি কিছুতেই রাজি নয়৷ কিন্তু মোরগও নাছোড়বান্দা৷ অবশেষে মুরগি রাজি হলো৷ মোরগ তখন হেসে বললো, ঠিকই দিল শুধু আমার পরিশ্রম করিয়ে নিল৷ সরকারের হলো এই দশা৷''

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রূপ নিল বিজয় উল্লাসে

জালাল তাজমুল, মো. নজরুল ইসলাম ভ্যাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করাকে সরকারকে ‘ঠেলার নাম বাবাজি' বলে মন্তব্য করেছেন৷

বন্ধু সেঙ্গুন চিরণ ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে বাহবা দিচ্ছেন ঠিকই, তবে তিনি নিশ্চিত যে এই ভ্যাটের দায় অন্য কোনো শ্রেণির উপর চাপানোর চেষ্টা করবে সরকার৷ তিনি এর কারণও হিসেবে লিখেছেন, ‘‘একটি নিয়মতান্ত্রিক সরকারের চেয়ে একটি শ্বৈরাচারী সরকারের(অদৃশ্য) ব্যয় অনেক বেশি৷''

মনজুরুল হক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি-র ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, মনে করেন যে এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে ভালো হতো৷ এই একই মত শাহীন ইসলামেরও৷

এ. কে. সুজনের মন্তব্য, ‘‘এই সিদ্ধান্ত না নিয়ে ওপায় কী? সরকারের পায়েরর নীচে মাটি সরে জাইতাছে৷''

ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ আহমেদ রেজা, জাকির হোসেন জুয়েলসহ অনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷

বাংলাদেশের সব মন্ত্রীদের নাকি বয়স হয়ে গেছে৷ তাই তাঁরা কী বলতে কী বলেন – এ রকম ধারণা মির্জা মাহমুদের৷

‘‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি-র উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মন্ত্রী পরিষদের৷ আর ছাত্রদের দাবি ছিল শিক্ষাখাত হতে ভ্যাট প্রত্যাহার৷ দুইটা কি এক বিষয় হলো?'' ডয়চে ভেলের ফেসবুকে এই মন্তব্য পাঠক ফজলেরনির৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন