1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিডিইউ দলের সম্মেলন

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জার্মানিতে মহাজোট সরকার চূড়ান্ত হবার আগেই নিজের সিডিইউ দলের ঘর গুছিয়ে নিলেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ এবার এসপিডি দলের সদস্যরা ইতিবাচক ভোট দিলেই সরকার গঠিত হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2tNqf
আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও সদ্য নির্বাচিত সিডিইউ সাধারণ সম্পাদক আনেগ্রেট কাম্প-কারেনবাউয়ার
ছবি: imago/S. Zeitz

বাধ্যবাধকতা ছিল না, তাও কোয়ালিশন চুক্তির পক্ষে দলের আনুষ্ঠানিক সমর্থন আদায় করে নিলেন সিডিইউ নেত্রী আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সেইসঙ্গে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে কিছুটা ঘর গুছিয়ে নিলেন৷ সম্ভাব্য মহাজোট সরকারের জন্য মন্ত্রী তালিকা স্থির করার পাশাপাশি নতুন সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করলেন তিনি৷ এই সব পদে এমন সব ব্যক্তিদের বেছে নিয়েছেন, যাঁদের প্রতি দলের বিভিন্ন শিবিরের সমর্থন রয়েছে৷ গত নির্বাচনে খারাপ ফলের প্রেক্ষাপটে দলকে নতুন করে সাজানোর লক্ষ্যে এক কর্মসূচিও অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন ম্যার্কেল৷ ফলে সমালোচকদের মুখ আপাতত বন্ধ হচ্ছে, যদিও নেত্রী হিসেবে আগের মতো কর্তৃত্ব থাকছে না৷

প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে ম্যার্কেল নিজে কোয়ালিশন চুক্তির পক্ষে সওয়াল করেন৷ তাঁর মতে, জার্মানির স্বার্থে এই সরকার গড়া অত্যন্ত জরুরি৷ গত নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফলের প্রেক্ষিতে তিনি স্বীকার করেন, যে সাধারণ মানুষের অনেক দুশ্চিন্তা দূর করা সম্ভব হয়নি৷ বিশেষ করে এএফডি দলের সাফল্যের মুখে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার উপর জোর দেন তিনি৷ 

সম্ভাব্য মহা়জোট সরকারে সামান্য কয়েকটি মন্ত্রী পদের জন্য সব মহলকে খুশি করা কার্যত অসম্ভব৷ যেমন জার্মানির পূর্বাংশের কোনো মন্ত্রীর নাম না থাকায় দলের কিছু মহল সমালোচনা করছে৷ ম্যার্কেল নিজে চ্যান্সেলর হিসেবে পূবের প্রতিনিধিত্ব করা সত্ত্বেও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ তাই এবার প্রতিমন্ত্রীদের নাম ঘোষণার ক্ষেত্রে পূবের নেতাদের নাম বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

সিডিইউ নেতারা মহাজোট সরকার সম্পর্কে বেশ আশাবাদী৷ তাঁদের আশা, এসপিডি সদস্যরা কোয়ালিশন চুক্তির পক্ষেই ভোট দেবেন৷ দলের গোটা নেতৃত্বকে সরিয়ে দিয়ে নতুন নির্বাচনের পথে যাবার বিকল্প তাঁদের জন্য মোটেই আকর্ষণীয় বিকল্প হতে পারে না – বিশেষ করে জনমত সমীক্ষায় যখন দলের সমর্থন তলানিতে এসে পৌঁছেছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)