‘সরকার ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে নূরকে ভিপি ঘোষণা করেছে' | পাঠক ভাবনা | DW | 12.03.2019
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘সরকার ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে নূরকে ভিপি ঘোষণা করেছে'

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ বেশিরভাগ পদে জয়ী হলেও কোটা আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী মো: নুরুল হক নূর ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন৷

নূর-এর জয় ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ডয়চে ভেলে বাংলার পাঠকরা ফেসবুক পাতায় নানান মন্তব্য করেছেন৷

জসিমউদ্দিন লিখেছেন, ‘‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল হক নূর আগামী দিনের বাংলাদেশের কাণ্ডারি হবেন, ইনশাআল্লাহ্৷''

বাহার উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘ নূর ভাই যদি ভিপি হয় সেক্ষেত্রে তাঁর প্যানেলের রাশেদ ভাইয়ের জিএস হওয়ার কথা৷ আর জিএস গোলাম রব্বানী যা ভোট পেয়েছেন তা তো ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী শোভন ভাইয়েরও পাওয়ার কথা! বুলেট মিস হলেও কি ছাত্রলীগের পোলাপাইন ভুলে নূরকে ভোট দেবার কথা না!''

মো. জাহিরুল ইসলাম শেখ মনে করেন একটু সুযোগ পেলে নাকি সব ভোট বিরোধীরা পেতো৷ আর শরীফ হায়দার শিবলুর ধারণা, সরকার নাকি ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতেই নূরকে ভিপি ঘোষণা করেছে৷

জহুরুল হক খানিকটা হতাশ হয়েই লিখেছেন, ‘‘জনগণ সবই বোঝে, কিন্তু জনগণের হাতে ক্ষমতা নাই৷ দেশ এখন আওয়ামী লীগের হাতে৷''

আরো বেশি হতাশ পাঠক ইয়াসিন মিয়া৷ তাঁর মন্তব্য এরকম, ‘‘দেশে নির্বাচনের নামে অভিনয় চলছে৷ নির্বাচন নিয়ে কথা বলা অযৌক্তিক৷''

ইসলাম বাদল মনে করেন, ‘‘এটা তো অবশ্যই প্রহসনের নির্বাচন! এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের সব প্যানেলকে জিতিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র ভিপি পদটিতে নুরুলকে জিতিয়েছে, এটা দেখাতে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হইছে৷''

কাজি সালাউদ্দিন লিখেছেন, ‘‘ছাত্রলীগদের নরম, সহজ সরল পেয়ে ভোট জালিয়াতি করে নুরু ভিপি হয়ে গেল৷''

মেহেদি হাসান মনে করছেন, ‘‘নুরুকে ভিপি করার সিদ্ধান্ত একটি সান্ত্বনা মাত্র৷''

কবির হোসেনের ধারণা, নির্বাচনের অনিয়ম আড়াল করার জন্যই নাকি নূরকে ভিপি করা হয়েছে৷

এমএ হাসান মনে করছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের পুরো প্যানেল জয়ী হত৷

তৌহিদ ইসলাম নিশ্চিত যে রাতভর নাটক, সংলাপের পর নির্বাচনকে বৈধতা দিতেই ডাকসুর ভিপি নূর৷

শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, ছাত্রলীগকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা সময়ের দাবি মাত্র৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

নির্বাচিত প্রতিবেদন