1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সহিংসতার কাছে সরকার মাথা নত করবে না: ভেজ্জাজিভা

২৫ এপ্রিল ২০১০

সিনাওয়াত্রার সমর্থক বিক্ষোভকারীরা এপ্রিলের তিন তারিখ থেকে ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলের বাণিজ্যিক অঞ্চল রাতচাপ্রাসং দখল করে রেখেছে৷ সরকার তাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত ঐ এলাকা থেকে সরে যেতে তারা অস্বীকার করেছে৷

https://p.dw.com/p/N5ut
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অভিসিৎ ভেজ্জাজিভাছবি: AP

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অভিসিৎ ভেজ্জাজিভা বলেছেন,সহিংসতা এবং হুমকির কাছে তাঁর সরকার মাথা নত করবে না৷ এর আগে তিনি লাল জামা বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, তাদের দখলকৃত ব্যাংককের সেনা ক্যাম্পটি তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হবে৷

থাই প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা সেনা ক্যাম্পটি ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে ব্যাংককের বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে দিলেও বলেননি, কখন এবং কিভাবে কাজটি করা হবে৷ লাল জামা বিক্ষোভকারীদের একটি প্রস্তাব সরকার শনিবার প্রত্যাখ্যান করার পর, থাই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং তা দেশব্যাপী সম্প্রচারিত হয়৷ এরপরই রবিবার তিনি প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন৷ একই সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংসতা এবং হুমকির কাছে তাঁর সরকার মাথা নত করবে না৷ বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভেঙ্গে দেয়া এবং নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে৷ তারা প্রস্তাব দিয়েছিল, সরকার যদি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তবে লাল জামা বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিবাদ বন্ধ করবে৷ কিন্তু থাই সরকার শনিবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে৷

Flash-Galerie Thailand Politik
ব্যাংককে সরকার বিরোধী বিক্ষোভছবি: AP

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক বিক্ষোভকারীরা এপ্রিলের তিন তারিখ থেকে ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলের বাণিজ্যিক অঞ্চল রাতচাপ্রাসং দখল করে রেখেছে৷ সরকার তাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত ঐ এলাকা থেকে সরে যেতে তারা অস্বীকার করেছে৷ সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এই পর্যন্ত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ আহত হয়েছেন ৯শরও বেশি৷

এদিকে ২৮ জন বিদেশি কূটনীতিক শুক্রবার ব্যাংককের বিক্ষোভ অঞ্চল পরিদর্শন করার পর, পুরো ব্যাপারটি অন্যদিকে যাবার আগেই থাই প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন৷ রবিবারে তাঁর সাপ্তাহিক টেলিভিশন বক্তব্যে অভিসিৎ বলেন, আমি রাজনৈতিক সমাধান প্রত্যাখ্যান করিনি৷ তবে দুটি বিষয় বুঝতে হবে৷ রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে এমন কোন নতুন পন্থা অবলম্বন করা উচিৎ নয় যেটি সহিংসতা এবং হুমকির পথ ধরে আসে৷ তিনি দ্বিতীয় যে বিষয়টির কথা উল্লেখ করেন, সেটি হচ্ছে, মনে করা হচ্ছে, ইউনাইটেড ফ্রন্ট ফর ডেমোক্রেসি এগেইনস্ট ডিকটেটরশিপ বা ইউডিডি-র এইসব দাবির পেছনে লুকোনো কোন এজেন্ডা রয়েছে৷ তিনি বলেন, সেটি অন্য কারো সমস্যা সমাধানে ক্ষমতা দখল করাও হতে পারে৷

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের সমস্যা শোনার জন্যে মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে কোন বিদেশি কূটনীতিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷ কেননা মন্ত্রণালয় জানে, থাইল্যান্ডে কি হচ্ছে সে সম্পর্কে বিদেশি কূটনীতিক এবং সরকার ভালো ভাবেই সচেতন রয়েছেন৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: অরুন শঙ্কর চৌধুরী