1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকরা বিপন্ন বোধ করছেন শ্রীলংকায়

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

শ্রীলংকায় সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনের মাত্রা যে কোন সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে৷ এই অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তার অভাবে রয়েছেন সেখানকার সাংবাদিকরা৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো সাংবাদিক নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/LqGC
সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নির্যাতন আরও বেড়ে গেছে বলে অভিযোগছবি: AP

মুনজা মুস্তাক৷ শ্রীলংকার একজন নারী সাংবাদিক৷ একটি পত্রিকায় কাজ করেন৷ ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দিলেন একটি কথা.... এসে দেখে যাও সভ্য মানুষ, কী হচ্ছে শ্রীলংকার সাংবাদিকদের সঙ্গে! থামো সরকার ! থামো!

এই হচ্ছে শ্রীলংকার আসল অবস্থা, যা জানাচ্ছেন মুনজা৷ সাংবাদিকদের উপর গত এক বছরের বেশী সময় ধরে নানা ধরণের নির্যাতন চলছে শ্রীলংকায়৷ এই মাত্রা সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আরও বেড়ে গেছে৷ সাংবাদিকদের অনেককেই জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে৷ ধিক্কার পড়েছে সারা বিশ্বে৷

গত মাসের ২৬ তারিখে মাহিন্দা রাজাপাকসে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার বিজয়ী হন৷ ৬৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ হিসেবে সংসদে যোগ দেন ১৯৭০ সালে৷ ২০০৫ সালে তিনি প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷ তামিল টাইগারদের সঙ্গে সরকারের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ক্ষীণ সম্ভাবনার মধ্যে সে সময়ে তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন৷ কিন্তু একে একে নানা সিদ্ধান্ত এবং সর্বশেষ তামিল টাইগারদের নিশ্চিহ্ন করতে নির্দেশ দেন সেনা অভিযানের৷ মরণকামড়ে জয়টা ছিল রাজাপাকসের৷

প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর তিনি বাকস্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁর আমলে শ্রীলংকায় কমপক্ষে একজন সাংবাদিক খুন হন, নির্যাতনের কারণে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন অনেকে৷ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও প্রতিবেদক শ্রীলংকাকে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ বলেছেন৷

সেই প্রেসিডেন্টই এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলেন৷ যদিও এই নির্বাচন নিয়ে শ্রীলংকার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ৷ আর এই বিষয় নিয়ে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় আছেন সাংবাদিকরা৷ তাদের উপর নেমে এসেছে সরকারের স্ট্রিম রোলার৷

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তারা শ্রীলংকা থেকে প্রাপ্ত সংবাদে দেখতে পাচ্ছেন, সেখানে অন্তত ৫৬ জন সাংবাদিক সরকারী দলের কাছ থেকে কিংবা প্রশাসনের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন৷ এদের মধ্যে এমন অনেক সাংবাদিক আছেন যারা সরকারী গণমাধ্যমে কাজ করেন৷ বাদ যায়নি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরাও৷ সরকার বিরোধী কোন সংবাদ পরিবেশিত হলেই তা ব্লক করে দেয়া হচ্ছে৷ এমন ব্লক করা নিউজ ওয়েবসাইটের সংখ্যা অন্তত ৫টি৷

সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো শ্রীলংকার গণমাধ্যমের উপর আরোপিত সেন্সরশিপ তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন