1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিক অপহরণকারী আফগান বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে

২৯ অক্টোবর ২০২০

একজন আমেরিকান সাংবাদিক এবং দু'জন আফগান নাগরিককে অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এক আফগানকে গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3kaxJ
নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ডেভিড রোড ছবি: Vadim Ghirda/AP/picture alliance

নিউ ইয়র্ক টাইমসের একজন সাংবাদিক এবং দু'জন আফগান নাগরিককে অপহরণ করার অভিযোগে ২০০৮ সালে একজন আফগানকে বিচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল বলে বুধবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ ৪৪ বছর বয়সি হাজী নাজিবুল্লাহ একজন আমেরিকান সাংবাদিক এবং আরও দু'জন আফগান নাগরিককে বন্দুকের মুখে অপহরণ করায় সহায়তা করেন৷ তারপর সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে তাদের জিম্মি করে রাখেন, জানিয়েছেন অপহরণ মামলার প্রসিকিউটর অড্রে স্ট্রাউস৷ তবে নাজিবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ম্যানহাটান ফেডারেল আদালতে এতদিন চাপা পড়ে ছিল৷

মার্কিন কর্তৃপক্ষ অপহরণকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি, তবে একজন তালেবান নেতার সাক্ষাৎকার নিতে যাওয়ার আগে, তাদের বিবরণ মতে টাইমসের সাংবাদিক ডেভিড রোড এবং একজন আফগান সাংবাদিক তাহির লুডিনের অপহরণের সাথে মিলে যায়৷

তালেবানের শক্ত ঘাঁটি কান্দাহারে মেয়েদের জিম

২০০৮ সালের ১০ নভেম্বর তাদের অপহরণের সাত মাস পরে পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চলের তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকাথেকে দুজনেই নাটকীয়ভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন৷ লুডিন ও রোডের পালিয়ে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে অপহরণের তৃতীয় শিকার তাদের গাড়ির চালক আসাদুল্লাহ মঙ্গলও পালিয়ে যান৷ একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, মেশিনগান নিয়ে অন্য অপহরণকারীদের মধ্যে নাজিবুল্লাহ ছিলেন একজন৷ যে অপহরণকারীদের জিম্মি করার পাঁচ দিন পরে আফগানিস্তানের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে নিয়ে যায়৷

নাজিবুল্লাহ এবং অপহরণকারীরা বহুবার জিম্মিদের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ দাবি করে৷ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, নাজিবুল্লাহর গ্রেপ্তারের খবর গোপন রাখা হয় এবং তার ষড়যন্ত্র, অপহরণ ও নানা অভিযোগের কারণে মঙ্গলবার তাকে ইউক্রেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়৷

জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন সি ডেমার্স বলেন, ‘‘সাংবাদিকরা তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে সংবাদ সংগ্রহ করেন৷  যারা তাদের এবং অ্যামেরিকানদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের কখনও ছেড়ে দেওয়া হবে না৷’’

এনএস/কেএম (এএফপি,এপি)