1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংসদদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন: আবদুল হামিদ

৬ মার্চ ২০১০

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সরকারি এবং বিরোধী দলের সাংসদদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু সেই বাক্য বিনিময় মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সংসদ ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন স্পীকার মো. আবদুল হামিদ৷

https://p.dw.com/p/MLfw
আবদুল হামিদছবি: DW/ Harun-ur-Rashid Swapan

শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্পীকার৷ তিনি জানান, সরকার ও বিরোধী দল আন্তরিক হলে সংসদ অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে৷

সংসদের পরিবেশ নিয়ে আশাবাদী আবদুল হামিদ বলেন, সংসদের এই অস্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব৷ তাঁর মতে, সরকার ও বিরোধী দল পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহনশীলতার মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে সংসদকে কার্যকর করে তুলতে পারে৷ স্পীকার বলেন, আমি মনে করি মন মানসিকতার পরিবর্তন যদি হয় তাহলে বিধানের প্রয়োগ আমাদের করতে হবে না৷ শুক্রবার ঢাকায় এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন আবদুল হামিদ৷

উল্লেখ্য সাংসদদের আচরন বিষয়ে ‘সংসদ সদস্যদের আচরন আইন ২০১০' নামে একটি বেসরকারি বিল জানুয়ারি মাসে সংসদে আনা হয়েছে৷ তবে গত দু'মাসে তা অনুমোদন হয়নি৷ এমনকি এই বিল আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অনুমোদন পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে খোদ আব্দুল হামিদের মনেও৷ তিনি বলেন, এটা তিনমাসও লাগতে পারে ছয়মাসও লাগতে পারে আবার ২০১০ সাল পুরোটাও লেগে যেতে পারে৷ এটা বলা খুব কঠিন৷ ভবিষ্যতই বলে দেবে এই সংসদ কিভাবে চলবে না চলবে৷

অবশ্য তাঁর মতে, সংসদে এমপিরা যে ধরনের অশালীন বক্তব্য রাখেন তা আইন করে বন্ধ করা যাবে না৷ এজন্য সাংসদদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন বলে জানান তিনি৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং বেশ আধুনিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত৷ ফলে সেখানে অধিবেশন চালাতে বেশ মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয় সরকারকে৷ আর তাই জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বাদ দিয়ে সংসদে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, কাদা ছোঁড়াছুড়ি আর ব্যক্তিগত আক্রমণে বেশ বিরক্ত সুশীলসমাজ৷

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এস এম শাহজাহান ডয়চে ভেলেকে জানান, জাতীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকার পরও সংসদ সদস্যরা অতীত নিয়ে কূটতর্কে লিপ্ত হচ্ছেন৷ যা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন৷

একই বিষয়ে সাবেক বিচারপতি গোলাম রব্বানি জানান, সংসদের এই অহেতুক তর্ক বন্ধ করতে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়