1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইকেলের শহর হতে চায় বন

২৫ মার্চ ২০১৭

জলবায়ু পরিবর্তন আর বায়ু দূষণ রোধে অনেক ইউরোপীয় শহরই সাইকেলের দিকে ঝুঁকেছে, ঝুঁকছে৷ এই যেমন নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম৷ জার্মানির প্রাক্তন রাজধানী বনেরও ইচ্ছা সেরকম, কিন্তু কাজটা ঠিক সহজ মনে হচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/2ZtFG
ছবি: DW/S. George

পরিবেশবান্ধব যান হিসেবে সাইকেলের তুলনা নেই৷ জার্মানির কয়েকটি শহর তাই বাসিন্দাদের সাইকেল চালাতে উৎসাহ দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে, এসেছে সাফল্যও৷ বন শহরও চায় নিজেদের ২০২০ সাল নাগাদ নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে সাইকেলবান্ধব মহানগরীতে রূপ দিতে৷ সেটা করতে পারলে রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচলের ফলে সৃষ্ট কার্বন নির্গমনের হার কমানো যাবে অন্তত ২০ শতাংশ৷

কিন্তু কাজটা এত সহজ নয়৷ জার্মান সাইক্লিং ক্লাবের (এডিএফসি) ট্রাফিক প্ল্যানার ওয়ার্নার ব্যুচার বনের সাইকেল নগরী হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধার কথাটা সহজেই ধরিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘বনে ট্রাফিক সমস্যা রয়েছে৷ আর সেটা হচ্ছে গাড়ি অনেক, কিন্তু সে তুলনায় রাস্তাঘাট কম৷''

বনের অর্থনীতি আসলে অফিসে কাজ করা কর্মচারী নির্ভর, শিল্পকারখানার শ্রমিক নির্ভর নয়৷ ফলে গাড়ি চালিয়ে অফিসে যাওয়া মানুষের সংখ্যা শহরে অনেক বেশি, যার প্রভাব পড়ছে রাস্তাঘাটের উপর৷ ব্যুচার বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই মানুষদের গাড়ির বদলে সাইকেল বা গণপরিবহণ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা৷''

তিনি মনে করেন না যে, নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে৷ বরং তাঁর মতে, রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যা কমানোর উপায় বের করতে হবে৷ তবে কাজটা যে কঠিন, তাও স্বীকার করেছেন ব্যুচার৷ ‘‘জার্মানিতে গাড়ির লবি এখনো অনেক শক্তিশালী'', বলেন তিনি৷

জার্মানিতে জ্বালানি উৎপাদনের পর কার্বন নির্গমনের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হচ্ছে ট্রান্সপোর্ট৷ বন শহর সেই ২০১০ সালেই সাইকেলের ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দিয়েছিল, যা ২০২০ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা৷ এ জন্য শহরের কেন্দ্রস্থলে গাড়ির বদলে সাইকেলের ব্যবহার বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে৷ সাইকেল চালানো সহজ করতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সাইকেলের লেনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি৷ এছাড়া সাইকেল যাতে সহজে রাখা যায়, সেজন্য আরো নিরাপদ পার্কিং স্পট তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে নগর কর্তৃপক্ষের৷

কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ ততটা এগোয়নি৷ ২০২০ সাল নাগাদ বন শহরে স্পষ্ট সাইনসহ সাইকেল পাথের সংখ্যা ১৭৫টি করার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ২৫টি৷ আর অল্প কিছু রাস্তায় পাশাপাশি সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা রয়েছে৷ নগর কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশাবাদী যে, ‘‘সাইকেলের রাজধানী'' হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়েছে তারা৷ এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ শেষ হবে বলেও আশা করছেন তাঁরা৷

স্টুমাই জর্জ/এআই

ঢাকা শহরকেও কি এমন পরিবেশবান্ধব সাইকেলের শহর হিসেবে ভাবতে পারেন? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য