1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ অক্টোবর ২০১৩

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ৷ গোয়েন্দা বিভাগ এ বিষয়ে অনেক তথ্য প্রমাণ জব্দ করেছে৷

https://p.dw.com/p/19yII
epa03890753 Salauddin Quader Chowdhury, one of the leaders of the Bangladesh Nationalist Party (BNP) waves hand before entering the court in Dhaka, Bangladesh 01 October 2013. The war-crimes court has given the death sentence verdict to Salauddin for genocide and deadly torture of Hindus and leaders of the now rulling Awami League in Chittagong during the independence war in 1971. EPA/STRINGER
ছবি: picture-alliance/dpa

আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রায়ের খসড়া ফাঁসে যারা ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলিকে অর্থের লোভ দেখিয়ে কাজে লাগিয়েছে, সে তাদের নাম প্রকাশ করেছে আদালতের কাছে৷ তাদের মধ্যে সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম এবং তাঁর সহকারী আইনজীবী মেহেদী হাসান অন্যতম৷ শুধু রায় নয়, ট্রাইব্যুনালের আরো কিছু কাগজপত্রও সে অর্থের লোভে পাচার করেছে৷ আর এ জন্য সে ব্যারিস্টার ফকরুলের কাকরাইলের চেম্বারে গিয়েছে এবং কথা বলেছে৷ তবে রায়ের খসড়া ফাঁসের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নয়ন সে টাকা পায়নি৷

মামলাটি এখন গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে৷ উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, এই জবানবন্দিতে সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার এবং ট্রাইব্যুনালের আরেক কর্মচারী ফারুকের নাম এসেছে৷ ফারুককে অবশ্য এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ফারুকের সঙ্গে সাকার ম্যানেজারের পরিচয় আছে৷ ফারুকই ম্যানেজারের সঙ্গে নয়নের পরিচয় করিয়ে দেয়৷ আর ম্যানেজার নয়নকে ব্যারিস্টার ফকরুল ইসলাম এবং তার সহকারী মেহেদির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়৷

Bangladesh Ausschreitungen Streik
ফখরুল ইসলামের কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ পুলিশ তাকে খুঁজছেছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

উপ পুলিশ কমিশনার আরও জানান, রায়ের খসড়াসহ পেন ড্রাইভ এবং ফখরুল ইসলামের কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে৷ তা থেকেও তার এই অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে৷ তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ পুলিশ তাকে খুঁজছে৷ আর সাকার ম্যানেজারও পলাতক আছে৷ সাকার পরিবারের কোন সদস্য এই রায় ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ তবে সাকার ম্যানেজারকে আটক করা গেলে তা পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি৷ তিনি বলেন, শুধু রায়ের খসড়া ফাঁস নয়, ফাঁসের পর কারা তা অনলাইনে দিলো, তাও তদন্তে বেরিয়ে আসবে৷

জানা গেছে, ব্যারিস্টার ফকরুল ইসলামকে আটকের জন্য গোয়েন্দারা তার চেম্বার এবং বাসায় নজর রেখেও তাকে পাননি৷ পুলিশ ধারণা করছে, তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন৷ আর ডয়চে ভেলে তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বার বার বন্ধ পায়৷

গত ১লা অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়৷ তবে রায়ের খসড়া (দণ্ড ছাড়া) আগের রাতেই অনলাইনে প্রকাশ হয়ে যায়৷ তা নিয়ে সাকার আইনজীবী এবং পরিবারের সদস্যরা রায়ের দিন দাবি করেন, আইন মন্ত্রণালয় আগেই রায় তৈরি করেছে৷ তারা এও দাবি করেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকেই রায় বাইরে গেছে৷ কিন্তু পরের দিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার থানায় জিডি করেন এবং তাতে ট্রাইব্যুনাল থেকেই রায়ের খসড়ার অংশ বিশেষ ফাঁসের অভিযোগ করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য