1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগরে শিকারী মাছের সংখ্যা কমছে

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১

সাগরে শিকারী মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে৷ অর্থাৎ কড কি টুনা’র মতো বড় মাছেরা উধাও হচ্ছে৷ পড়ে থাকছে এ্যাঙ্কোভি কি সার্ডিনের মতো চুনোপুঁটি৷ গত ১০০ বছরে ছোট মাছেদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/10KJw
ছবি: by-nc-sa/Joachim S. Müller

ওদিকে পৃথিবী জুড়ে মানুষের মাছ ধরার পরিমাণও বেড়ে চলেছে৷ যদিও তা'তে কিছু লাভ হচ্ছে না৷ কেননা জালে ক্রমেই আরো কম মাছ পড়ছে৷ যার একটা অর্থ এই হতে পারে যে, সাগরের থেকে মানুষ যতোটা খাদ্য আশা করতে পারে, সেই পরিমাণ আর বাড়বে না৷

অতিরিক্ত মাছ ধরার মানে সর্বাগ্রে বড় জাতের মাছগুলোকে ধরা৷ বেড়াল না থাকলে যেমন নেংটি ইঁদুর খেলা করে, ঠিক তেমনই ছোট মাছগুলো যথেচ্ছ বংশবৃদ্ধি করার সুযোগ পেয়েছে৷ গবেষকরা দেখেছেন যে, বিগত ৪০ বছরে সমুদ্রে বড় মাছগুলোর পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশী কমে গেছে৷

3-D Demonstration in Tokio Flash
ছবি: AP

গবেষকরা দেখেছেন, সাগরের অবস্থা যেন মানুষের সৃষ্ট ভেড়ির মতো৷ ছোট মাছেদের সংখ্যা বাড়ছে বটে, কিন্তু তাদেরও দলে-দঙ্গলে ধরা হচ্ছে ‘ফিশমীল' বা গুঁড়ো মাছ, এবং মাছের তেল তৈরী করার জন্য, যা আবার নাকি ডাঙায় মাছের চাষে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ কাজেই সাগরে ছোট মাছেদের সংখ্যা বাড়লেও, সামগ্রিকভাবে মাছের সরবরাহ বাড়েনি৷ অর্থাৎ মানবজাতির হাতে খনিজ তেলের পরিমাণ যেমন সীমিত, দৃশ্যত তেমন কতো মাছ ধরা যায়, তার পরিমাণও সীমিত৷

সীফুড বিশ্বব্যাপী মানুষের খাদ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ, প্রায় ১২ শতাংশ৷ কিন্তু খাবার হিসেবে সামুদ্রিক মাছ ও জীবজন্তুর জন্য চাহিদা বেড়েছে মূলত চীনের কারণে, বলছেন গবেষকরা৷ অপরদিকে মাছ ধরার পরিমাণ কমায় গবেষকদের আপত্তি নেই: তা'তে কয়েক জাতের মাছের সংখ্যা আবার বাড়তে পারে৷

বিজ্ঞানীদের ভয় হল, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের জলের তাপমাত্রা বাড়বে৷ ফলে মাছের সংখ্যা আরো কমবে৷

মৎস্য ধরিব, খাইব সুখের দিন শেষ হতে চলেছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার