1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগরে সোনার খোঁজে

৩ মে ২০১৬

সাগরের পানির নীচে সাগরবক্ষে যে খনিজ সম্পদ আছে, তার দাম হয়ত শত শত কোটি মার্কিন ডলার৷ যেমন লোহিত সাগরের নীচের কাদামাটিতে সোনা, রুপো, দস্তা, তামা, সব কিছু পাওয়া যায়৷

https://p.dw.com/p/1IgrS
Haie im Meeresschutzgebiet Pacific Remote Islands Marine National Monument
ছবি: imago/blickwinkel

ভূ-ত্বকের ৭৫ ভাগ সাগরের পানিতে ঢাকা এক সুবিশাল এলাকা৷ সাগরের পানির নীচে সমুদ্রবক্ষে তেল ছাড়া আরো অনেক খনিজ সম্পদ লুকানো আছে৷ কিন্তু তা বের করে আনার মতো প্রযুক্তি এখন মানুষের হাতে নেই৷

জার্মানির কিল শহরের হেল্মহলৎস সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে বিশেষ করে নজর দিয়েছেন লোহিত সাগর, মানে রেড সি-র দিকে৷ গবেষণা কেন্দ্রের আর্কাইভে রেড সি সমুদ্রবক্ষের অ্যাটলান্টিস-দুই স্তরের মাটির হাজার হাজার নমুনা জমা রয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, সাগরের মাটিতে তামা কি রুপোর মতো মহার্ঘ্য পদার্থ রয়েছে৷ এমনকি টন টন সোনাও রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা৷ মেরিন বায়োলজিস্ট ড. ভার্নার ব্র্যুকমান বলেন, ‘‘অ্যাটলান্টিস ২-এর মতো এত বেশি খনিজ সম্পদ আর সমুদ্রবক্ষে অন্য কোথাও পাওয়া যায় না৷ এখনকার দাম অনুযায়ী ওখানকার খনিজ সম্পদের মূল্য হবে ১৪ থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার৷ আমাদের কাছে যা নমুনা আছে, তা থেকে বলা যায়, ওখানে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টন সোনা আছে৷''

সোনা, রুপো, দস্তা,তামা, সবই সাগরের জলের নীচের কাদামাটিতে পাওয়া গেছে৷ গবেষণা কেন্দ্রে রাখা নমুনাগুলো থেকে মাটির উপাদান সঠিকভাবে বলা যায়৷ লোহিত সাগরের তলায় যেন সত্যিই সোনার খনি রয়েছে!

লোহিত সাগরের গুপ্তধন

সৌদি আরবের জেদ্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একত্রে লোহিত সাগরের খনিজ সম্পদ খোঁজার কাজে লেগেছেন জার্মান ভূতত্ত্ববিদরা৷ এজন্য সাগরের তলা থেকে ১৬ মিটার অবধি লম্বা সব কাদার চোঙ খুঁড়ে বের করে আনা হয়েছে৷ লক্ষ্য হলো সাগরবক্ষের খনিজ সম্পদ বের করে আনার একটা পন্থা আবিষ্কার করা৷ ড. ব্র্যুকমান জানালেন, ‘‘রেড সি থেকে খনিজ সম্পদ বের করার মূল সমস্যা হলো, তা থেকে মিহি কণার যে কাদা সৃষ্টি হয় তা জাহাজ থেকে সোজা সাগরে ফেলা যায় না, কেননা, তার ফলে একটা বিস্তীর্ণ কাদার আস্তরণ সাগরের সব প্রাণীকে মেরে ফেলবে৷''

সৌদি আরবের আটজন উঠতি ওসেনোগ্রাফার শীঘ্রই সাগরের তলা থেকে খনিজ সম্পদ বের করার স্বপ্ন দেখছেন৷ জেদ্দা থেকে আসা এই ছাত্ররা ‘আলকর' গবেষণা কেন্দ্রে কাজ শিখছেন৷ তারা জার্মান বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সাগরের পানির নমুনা নিচ্ছেন৷ এক ছাত্র তারেক হুসেইন আল খতেইন জানালেন, ‘‘আমি এই প্রথম বালটিক সাগরে এসেছি৷ স্বভাবতই এখানকার তাপমাত্রা, সাগরের পানিতে লবণের পরিমাণ, অন্যান্য ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, সব কিছু আলাদা৷ বালটিক সাগরে পানি ক্রমাগত আসছে যাচ্ছে, বালটিক সাগরে যা সচরাচর ঘটে না৷ কাজেই বহু পার্থক্য আছে, যেগুলো সম্পর্কে জানতে ভালোই লাগে৷''

গবেষকরা একটি বিশেষ যন্ত্র দিয়ে সাগরের তলার মাটির নমুনা নেন৷ নরম কাদামাটি ভ্যাকুয়াম দিয়ে চোঙের মধ্যে টেনে নেওয়া হয়৷ জাহাজে বসে আরব ছাত্ররা শিখছেন, কিভাবে এই সব নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়৷ বালটিক সাগরের কাদামাটির রঙ কিন্তু কালো, লোহিত সাগরে যা নয়৷ এখানকার কাদায় প্রচুর লোহা আছে৷ সৌদি আরব থেকে আসা তরুণ গবেষকরা নিজেরাই কাজটা করে দেখছেন৷ দেশে ফিরে তারা এই ‘নো-হাউ' সাগরের খনিজ সম্পদ উদ্ধারের কাজে লাগাতে পারবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান