1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাদা বাঘকে রাগাবেন না!

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

একশ' বছরের বেশি আগে রেওয়ার মহারাজা একটি সাদা বাঘের বাচ্চা খুঁজে পেয়েছিলেন, নাম রেখেছিলেন মোহন৷ কিন্তু সাদা বাঘও যে বাঘ, তা বোঝা যায় এই রক্ত জল করা ভিডিওটি দেখলে৷

https://p.dw.com/p/2WlgI
সাদা বাঘ
ছবি: Reuters/Agencja Gazeta/M. Kujawka

২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হয় এই ভিডিও৷ তারপর ৩৭ লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন দুই সাদা বাঘের লড়াই; ভারতের বেঙ্গালুরুর জাতীয় উদ্যানে, খাঁচার মধ্যে৷

বেশ তো ছিল দু'টিতে, হঠাৎ যে কী হলো, ব্যাঘ্রপুঙ্গবদের মধ্যে গর্জানো আর দাঁত দেখানো আর থাবা বসানো শুরু হয়ে গেল৷ গর্জন শুনলেই প্রাণ ঠান্ডা হয়ে আসে, কিন্তু যেভাবে একজন আরেকজনকে উপড়ে ফেলে চিৎ হওয়া অবস্থায় তার উপর দাঁড়িয়ে নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করছে, তা-তে এই জীবটি যে জঙ্গলের জীব এবং চিরকাল তা-ই থাকবে, এ বিষয়ে সন্দেহ থাকার কোনো উপায় নেই৷

বাঘের মারামারিতে একটু আধটু কাটবেই ও রক্ত পড়বে, সেটা বাঘেদের কাছে আঁচড় ছাড়া কিছু নয়৷ এই ভিডিওটি দেখলে মনে হবে, এই যুদ্ধ থেকে ওদের দু'জনের একজন জীবন্ত বেরিয়ে আসতে পারবে বটে, কিন্তু অন্যজনকে...

অথচ পশুজগতের অনেকটাই হলো লোক-দেখানো – এক্ষেত্রে বাঘ-দেখানো ‘শো', প্রতিপক্ষকে ‘ইম্প্রেস' করার জন্য৷ বাঘেরা তা-তে কী ভাবে জানি না, তবে বনের অন্য প্রাণীদের যে কাপড়ে-চোপড়ে হয়ে যায়, তা আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি৷ অথচ জীবটা তো বেড়ালের বোনপো ছাড়া আর কিছু নয়, না হয় কথায় বলে ‘বিগ ক্যাট'৷ আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে সব মিলিয়ে সাকুল্যে ন'টা বাঘের মাসি ছিল: ভাগ্যিস তারা সুন্দরবন থেকে তাদের জনা কয়েক বোনপোকে নিমন্ত্রণ করেনি!

শেষমেষ বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল পার্কের কর্মীরা গাড়িতে করে একেবারে খাঁচার মধ্যে ঢুকে দুই মস্তানকে আলাদা করলেন৷ বাঘে ছুঁলে আঠেরো ঘা, তার বেশ ক'টা এই দুই লড়াকুর কনুই, কাঁধ ইত্যাদিতে দেখা গেল৷ তবে কেউ কাউকে কামড়ায়নি৷ কামড়াবেই বা কী করে, বাঘের তিন ইঞ্চি দাঁতগুলো হলো বিশ্বের মার্জার শ্রেণিভুক্ত সব জীবের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা ও সবচেয়ে মারাত্মক৷ ‘পাড়ার' মারামারিতে সে অস্ত্র দেখানো যায় বটে, কিন্তু ব্যবহার করা চলে না...৷

এসি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান