1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাফ প্রমীলা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ভারত

২৪ ডিসেম্বর ২০১০

পুরুষদের ফুটবলে ভারতের অবস্থান যতো পিছনেই থাক না কেন, মেয়েরাই কিন্তু এবার দেশের মুখোজ্জ্বল করলো৷ বাংলাদেশের কক্সবাজার স্টেডিয়ামে নেপালকে ১-০ গোলে হারালো তারা৷

https://p.dw.com/p/zpBy
পশ্চিমাদের মতো ফুটবলে পিছিয়ে নেই ভারতীয় মেয়েরাওছবি: AP

দক্ষিণ এশিয়ার প্রমীলা ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই প্রথম লড়াইয়ে, শিরোপা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া ছিল দুই দলই৷ বৃহস্পতিবারের ঐ খেলায়, শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ভারত৷ তবে নেপাল দমে যায় নি৷ পাল্টা হামলায় ভারতের রক্ষণভাগ ভাঙার অসাধারণ চেষ্টা করে নেপাল৷ ফলে প্রথম দিকে, আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণের মধ্য দিয়ে খেলা জমে উঠলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠের দখল চলে যায় ভারতের হাতে৷

তারপরও কিন্তু, প্রথমার্ধে কোনো গোল হয় না৷ নেপালি গোলরক্ষক চন্দ্র দাহাল যেন ‘দেওয়াল' হয়ে দাঁড়ান ভারতের মেয়েদের সামনে৷ বিরতির পর আবারো ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারত৷ ৬, ১৩, ২৩ ও ২৫ মিনিটের মাথায় চার-চারটি প্রায় নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন দাহাল৷ কিন্তু এরপরও ভারত হাল ছেড়ে দেয় না৷ আক্রমণ চলতে থাকে....আর নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলে দুই দলই৷

কিন্তু, খেলার ৬৫ মিনিটে ভারতের অধিনায়ক তাবাবিকে ফেলে দেওয়ায়, ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান রেফারি৷ এটাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়৷ প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে নজর কাড়ার মতো শট নেন সুস্মিতা মালিক৷ সে সময় একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন নেপালি গোলরক্ষক৷ আর তাতেই কিস্তি মাৎ৷ দাহাল কিছু বুঝে ওঠার আগেই – ‘গোল'৷

এরপর আর কি ? তাবাবির হাতে শিরোপা তুলে দেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি'এর চেয়ারম্যান বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলার কাজী সালাহউদ্দিন ও টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান৷

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এস এ গেমসের ফাইনালেও উঠেছিল এই দুই দল৷ আর সেবার, নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ভারতীয় মহিলা ফুটবলাররা৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক