সাবধান, এ সব মাশরুম খাবেন না!
জার্মানিতে বৃষ্টির মৌসুম মানেই মাশরুমের মৌসুম৷ কিন্তু কিছু মাশরুমের মধ্যে এক ধরনের বিপজ্জনক পদার্থ রয়েছে৷ এই বিষের খপ্পরে পড়েছেন অনেকেই, যাদের মধ্যে আছেন অভিবাসীরা৷ কেননা তাদের কাছে এগুলোকে বড়ই নিরীহ মনে হয়েছিল৷
ডেথ ক্যাপ বা মৃত্যু টুপি
অ্যামানিটা ফ্যালয়ডেস, এটি পরিচিত ‘মৃত্যু টুপি’ নামে৷ জার্মানির সবচেয়ে বিষধর মাশরুম হিসেবে পরিচিত এটি৷ চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে হানোফারে পাঁচজন অভিবাসীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কেননা তারা ভুল করে এই মাশরুম খেয়ে ফেলেছিল৷ আর ২০১৫ সালে ১৬ বছরের এক সিরীয় কিশোর এই মাশরুম খেয়ে মারা যায়৷ কারণ একইরকম দেখতে মাশরুম সে তার দেশে খেত৷
ইউরোপিয়ান হোয়াইট এগ
অ্যামানিটা বর্গের মাশরুমগুলোর একটি ডেথ ক্যাপ৷ এটিকে অনেক সময় ‘ইউরোপিয়ান হোয়াইট এগ’-এর সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়৷ ‘ইউরোপিয়ান হোয়াইট এগ’ মাশরুম ভূ-মধ্যসাগরীয় দেশগুলোর মানুষ খেয়ে থাকে৷
জঙ্গলের ভূত
অ্যাগারিকেসিআই পরিবারের মাশরুম হলো ম্যাক্রোলোপাইওটা৷ সাধারণ মানুষের কাছে এটার সাথে ডেথ ক্যাপের পার্থক্য ধরতে পারা ভীষণ কঠিন৷
সুস্বাদু নাকি বিষাক্ত ব্যাঙের ছাতা?
কুয়েনেরোমাইসিস (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) ভীষণ সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে, মারগিনাটা ভীষণ বিষাক্ত৷ এই দু’টিকেও আলাদা করা খুব কঠিন৷
মারিও ব্রোস মাশরুম
আইকনিক ফাঙ্গাসের কথা বললে অবশ্যই ‘অ্যামানিটা মাসকারিয়ার’ কথা বলতে হবে৷ প্রত্যেকটি জার্মান ছেলে-মেয়ে জানে এটা খেতে হয় না, কারণ এটা বিষাক্ত৷
রহস্যময় ফাঙ্গাস
ক্লিটোসাইবি মাশরুমের একশটি প্রজাতির মধ্যে কয়েকটি খাওয়ার যোগ্য, অন্যগুলো বিষাক্ত৷
প্রাণ সংশয়
এন্টোলোমার বিষের প্রভাব সরাসরি পাকস্থলীকে আক্রমণ করে৷ এগুলোর কোনটা যদি আপনি খান, আপনাকে হয়ত পুরো একটা রাত বাথরুমেই কাটাতে হবে৷ বমি, পাতলা পায়খানা এবং পেট ব্যথা এটি খাওয়ার পর সাধারণ লক্ষণ৷