1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাভারে পোশাক কারখানায় আগুন: নিহত ৩১

১৫ ডিসেম্বর ২০১০

ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুরে হা-মীম গ্রুপের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আগুনের ঘটনায় বুধবার সকাল পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে রাত আড়াইটার দিকে৷

https://p.dw.com/p/QYmb
কারখানার ১১ তলায় আগুন লাগেছবি: DW

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার ব্রিগেডের সঙ্গে কাজ করেছে সেনাবাহিনী৷ ফায়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক জানিয়েছেন ভিতের কাপড় থাকায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে৷

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ১১ তলা ভবনটিতে আগুন লাগে৷ ১০ তলার ফিনিশিং বিভাগ থেকে আগুনের শুরু যা দ্রুত ১১ তলার ক্যান্টিনে ছড়িয়ে পড়ে৷ তারপর ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে৷ ভবন থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন কর্মী এ তথ্য জানান৷ কারখানায় ৬ হাজার কর্মী কাজ করেন৷ গার্মেন্টসটির মালিক এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ৷ গার্মেন্টসটির নাম ‘দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার'৷

আগুন লাগার পর প্রাণভয়ে অনেক শ্রমিক বহুতল ভবন থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ দড়ি বেয়ে নিচে নামেন৷ যারা বের হতে পেরেছেন তারাও হুড়োহুড়ির কারণে গুরুতর আহত হন৷ আহত কয়েকশ' কর্মীকে সাভার ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ ফায়ার ব্রিগেড জানায়, নিহতদের অধিকাংশই লাফিয়ে পড়ার কারণে মারা গেছেন৷ তারা জানান, আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে৷ বুধবার ভিতরে তল্লাশি চালানোর পর মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে৷ তাদের ধারণা ভিতরে শ্রমিকরা আটকা পড়েছে৷ ফায়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক আবু নাইম মো. শাহীদুল্লাহ জানান ভবনটি উচু এবং ভিতের কাপড় থাকায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদশর্ন করেছেন৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু জানিয়েছেন ঘটনা তদন্তে মোট ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ আগুনের ঘটনা নাশকতা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

বিজিএমইএ সভাপতি সালাম মুরশেদি নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন৷

আগুনে নিহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক