1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামাজিক দূরত্ব পুরোপুরি মানছে না কলকাতা

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২৭ মার্চ ২০২০

কলকাতা শহরের কাঁচা বাজার প্রায় সবই অল্পবিস্তর খোলা। তা-ও ভিড় সুপার মার্কেটের বাইরে। ব্যর্থ হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি কৌশল।

https://p.dw.com/p/3a8w2
ছবি: DW/P. Tiwari

ভারতের প্রধানমন্ত্রী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ২১ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ৩১ মার্চ পর্যন্ত জনজীবন গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু লোকের যাতে খাবারের অভাব না হয়, সেই জন্য কলকাতার মাছ, মাংস এবং শাকসবজির বাজার অংশত খোলা রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাজারগুলি ঘুরে ঘুরে দোকানদারদের দেখিয়ে দিচ্ছেন, কীভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে কতটা দূরত্ব রাখতে হবে। শুক্রবার রাস্তায় খড়িমাটি দিয়ে দাগ টেনে তিনি বুঝিয়েছেন, ক্রেতারা কতদূরে দাঁড়াবেন। অন্যদিকে শহরের সুপার মার্কেটগুলিও সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। কিন্তু মানুষের আতঙ্কজনিত জিনিসপত্র কেনার ধূম বাড়ছে বই কমছে না। শুক্রবারও দেখা গেল বেশ কিছু সুপার মার্কেটের সামনে দীর্ঘ লাইন, মানুষের ভিড়। ফলে সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার যে সরকারি কর্মসূচি, তা কার্যত পথে বসছে।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন ডয়চে ভেলেকে জানালেন, পয়লা এপ্রিল থেকে মানুষকে বিনাপয়সায় চাল, আটা এবং গম দেওয়া হবে। তিনটি সামগ্রী মিলিয়ে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে। তার আগে পর্যন্ত মানুষ দু'‌টাকা কেজি দরে সরকারি চাল পাচ্ছিলেন। এবার তিন কেজি চাল, দু কেজি গম, বা দু কেজি চাল, তিন কেজি আটা, এই হিসেবে পাবেন। ‘‌‘‌সাত কোটি ৮৬ লক্ষ লোক পাবে। তার মধ্যে আবার এক কোটি ১৩ লক্ষ লোক পাবে। তারা পাবে নয় টাকা (‌কেজি)‌ গমের দাম, আর ১৩ টাকা চালের দাম।'‌'‌

কলকাতার বিভিন্ন দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যে আকাল দেখা দিয়েছে, সে প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, শুক্রবার থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, বা পিডিএস স্টিকার লাগানো গাড়িকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরবরাহকারীদের জন্যে পরিচয়পত্র চালু হয়েছে। আর বহু লোক যে হুড়োহুড়ি করে প্রচুর খাওয়ার জিনিস মজুত করছে, সে সম্বন্ধে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌‘‌লোকে হুড়োহুড়ি করছে, হুড়োহুড়িটা না করলেই ভাল হয়। হুড়োহুড়ি করার কোনও দরকারই নেই। বাজার তো প্রত্যেকদিনই খোলা। লোকে হুড়মুড় করে ১০টা কপি, কুড়িটা বেগুন কিনতে চলে যাচ্ছে!‌'‌'‌

খাদ্যমন্ত্রী এদিন আশ্বাস দিয়েছেন, শুধু শাকসবজি নয়, শখের মুরগির মাংস থেকে শুরু করে বাচ্চাদের জন্যে, বা হাসপাতালে রোগীদের পুষ্টির জন্যে মাছ, সবই পাওয়া যাবে।

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য