1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সার্কাসে অভিনব প্রযুক্তি

২৮ অক্টোবর ২০১৯

সার্কাস দেখেননি এমন লোকের সংখ্যা খুব কমই হওয়ার কথা৷ জার্মানির বিখ্যাত রনকালি সার্কাস তাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোতে নিয়ে এসেছেন আধুনিকতার ছোঁয়া৷ তারা হলোগ্রাম প্রযুক্তি যুক্ত করেছেন এর সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/3S4V4
Artenschutzabkommen Elefanten im Zirkus
ফাইল ফটোছবি: Getty Images/H. Magerstaedt

রনকালি সার্কাসের শুরুতে ক্লাউন ফ্রাইসটেহেন্ড সবাইকে স্বাগত জানান এখন৷ এই ক্লাউন কোনো মানুষ নন৷ একটি হলোগ্রাম বা প্রতিচ্ছবি৷

সার্কাসের শুরুতে আসে সোনালি রেণু দিয়ে দিয়ে তৈরি ঘোড়া৷ এরপর আসে হাতি এবং নানা প্রাণী৷ মূলত জীবন্ত প্রাণী সার্কাসে আর ব্যবহার করতে চায় না রনকালি৷ পরিচালক বেয়ার্নহার্ড পাওল প্রযুক্তির এই সংযুক্তিকে সময়ের দাবি বলে মনে করেন৷

‘‘এখন আর খোলা মাঠে তাবু ফেলি না আমরা৷ বরং শহরের কোনো পার্কিং লটে আসর বসাই৷ তাই প্রাণীদের থাকার পরিবেশ বদলে গেছে৷ এটা আমাদের চিন্তা করতে হবে৷ আমাদের চারপাশ প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে৷ তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে,'' বলেন তিনি৷

সার্কাসটি কিছুদিন আগে জার্মানির উত্তরাঞ্চলের শহর ল্যুবেকে ছিল৷ তাদের ‘‘স্টোরিটেলার্স- ইয়েস্টারডে, টুডে অ্যান্ড টুমরো'' শো'টি পারফর্ম করছিল৷

সার্কাসের মোহময় দুনিয়াকে একুশ শতকের উপযোগী করে তোলাই এদের লক্ষ্য৷ তাদের বাজিকররা রোবটের সাথে মিলে খেলা দেখান৷

‘‘সার্কাসে চমক থাকতে হয়৷ মানুষ অনুমান করতে পারবে না কী ঘটতে চলেছে৷ তারা বলবে, ‘কী ওটা? এমন আগে কখনো দেখিনি!' যেমন, স্টিম মেশিন, গাড়ি, ইলেকট্রিক বাতি এসব আগে মানুষকে চমকে দিত৷ আর এখন দিচ্ছে এই হলোগ্রাফি,'' বলেন বেয়ার্নহার্ড৷ 

সার্কাসে হলোগ্রাম প্রযুক্তি

রনকালির আইডিয়াকে বাস্তবে রূপান্তর করতে এগিয়ে এসেছে জার্মানির রুঅর অঞ্চলের একটি কোম্পানি৷ এরা অগমেন্টেড রেয়ালিটি বা উন্নত প্রযুক্তিগত বাস্তবতা নিয়ে কাজ করে৷

তারা প্রথমে থ্রিডি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে কাঠামো তৈরি করে৷ বির্গার ভুন্ডারলিশের এই দলটি একটি ভার্চুয়াল সার্কাস মঞ্চ তৈরি করেছেন৷ দর্শকরা যেসব অ্যাঙ্গেল থেকে দেখবেন সে অনুযায়ী অ্যানিমেশনগুলোও সাজিয়েছেন৷
‘‘একটা হাতির বিশাল দেহ এভাবে তৈরি করা অনেক জটিল কাজ৷ আমরা ছবির সাহায্য নিয়ে অঙ্গবিন্যাস করি৷ তবে একটা হাতির ৪০ হাজারেরও বেশি দৃশ্যমান লোম থাকে৷ আপনারা যদি আমাদের বানানো হাতি দেখেন, সেগুলোও দেখতে পাবেন৷ এদের মডেল তৈরি ও রেন্ডার করা দু'টোই কঠিন কাজ,'' বলেন কোম্পানিটির ডিজিটাল আর্টিস্ট পিয়েরে বির্গার ভুন্ডারলিশ৷

একটা বিশাল স্টুডিওতে প্রতিচ্ছবিগুলো মূল আকারের চেয়ে চারভাগের একভাগ করে পরীক্ষা করা হয় বলে জানান ভুন্ডারলিশ৷ তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আরো বেশি ভাব বিনিময় করা সম্ভব হবে এবং তা আরো মজার হবে৷ বাজিকররা প্রতিচ্ছবিগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন৷ ঠিক যেমন একজন শিল্পী তার নতুন রসদে ভর করে নতুন জগৎ তৈরি করেন এবং তার সঙ্গে মিশে যান৷''

পরের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল জগৎকে বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হবে বলে জানান আয়োজকরা৷ চলছে সেই প্রস্তুতি৷

ক্রিস্টিনা লাউবে/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য