1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী কমিশনার পেতে যাচ্ছে ইসি

২৬ জানুয়ারি ২০১৭

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ৷ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে৷ এবার প্রথমবারের মতো একজন নারীকে কমিশনার নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/2WRtJ
Bangladesch Parlamentswahlen
ছবি: AFP/Getty Images

কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মাহমুদ ছাড়াও আছেন আরও পাঁচজন৷ তাঁরা হলেন হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশন বা পিএসসির চেয়ারম‌্যান মোহাম্মদ সাদিক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার৷

সার্চ কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ‌্যে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম দিতে বলা হয়েছে৷ এবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে তালিকায় নারীদের নামও রাখতে বলা হয়েছে৷ ফলে সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো কমিশনার হিসেবে একজন নারী পেতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷

সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনে গতবারও একই দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷ এবারও তাঁকে কমিটির প্রধান করায় সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে৷ ইমতিয়াজ চৌধুরী শুভ্র লিখেছেন, ‘‘বর্তমান প্রধান বিচারপতির মেয়াদেই দু'জন জেষ্ঠ্য বিচারপতি ওয়াহাব মিয়া এবং নাজমুন আরা সুলতানা অবসরে যাচ্ছেন৷ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার দৌড়ে রীতিমত ‘ফ্রন্ট রানার'৷ এবার তাঁর যোগ্যতা প্রমাণের পালা৷ যোগ্যতা একটাই ‘আনুগত্য'৷ সার্চ কমিটির প্রধান হয়ে তিনি নিশ্চয়ই তাঁর আনুগত্যের প্রমাণ দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন৷''

সার্চ কমিটির সদস্য শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের সদস্য উল্লেখ করে রাশেদ খান ফেসবুকে  লিখেছেন, ‘‘এটাই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের ঘাড়ে ভুতের মতো চেপে থাকা রাজনীতি৷ কে এম হাসান  কোন এককালে বিএনপি করছে, সেটা তার অযোগ্যতা৷ তাই উনি নিরপেক্ষ হতে পারবেন না৷ কিন্তু শিরীন আখতার রানিং আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দলের সদস্য, এটা হচ্ছে তাঁর যোগ্যতা৷ আর তিনি ঠিকই নিরপেক্ষতার ব্যারোমিটারে উৎরে গেলেন৷''

এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরীফ উদ্দিন  লিখেছেন, ‘‘...দুঃখজনক হলেও সত্য, এঁদের (কমিটির সদস্যরা) প্রত্যেকেই আওয়ামী ঘরানার আমলা বা বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত৷ এখন বিএনপি যদি এই কমিটি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে, তবে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়েও অনিশ্চয়তা থেকে যায়৷'' তবে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সব পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷

সার্চ কমিটি দেখে বিএনপি ‘শুধু হতাশ নয়, ক্ষুব্ধ' বলে মন্তব্য করেছেন  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ এই সার্চ কমিটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে কিনা- সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি৷ তবে বিএনপির এমন প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন বাণিজ‌্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘এই কমিটিকে বিতর্কিত করলে বিএনপিরই ক্ষতি হবে৷''

সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে ফেসবুকে যাঁরা রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করেছেন তাঁদের উদ্দেশে অলিউল্লাহ নোমান  লিখেছেন, ‘‘...বেচারা রাষ্ট্রপতিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই৷ সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে শেখ হাসিনার সুপারিশের বাইরে কিছু করার ক্ষমতা দেয়নি৷'' এরপর তিনি অনুচ্ছেদ ৪৮-এ কী বলা আছে তা উল্লেখ করেছেন৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান