1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সার্জেনের সহকারী যখন রোবট

১৪ মার্চ ২০১৮

চিকিৎসাবিদ্যার উন্নতির ফলে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারও আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে উঠেছে৷ তবে জটিল অপারেশন এখনো বড় চ্যালেঞ্জ৷ ভবিষ্যতে সার্জেনকে সহায়তা করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির প্রক্রিয়া চলছে৷

https://p.dw.com/p/2uDyL
Erste Nierentransplantation mit Roboterhilfe in Italien
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানির লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলছে৷ বেশ জটিল অপারেশন৷ প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগবে৷ সার্জেন হিসেবে প্রো. ইয়ুর্গেন  মাইক্সেনব্যার্গার বলেন, ‘‘চোখে একটা বিশেষ সমস্যার কারণে এই রোগী নজর কেড়েছিলেন৷ তাঁর কিছুটা অবসাদও হচ্ছিল৷ মস্তিষ্কের সারফেসের ঠিক নীচে পস্টেরিয়ার লোবের পিছনদিকে একটা টিউমার ধরা পড়ে৷''

সার্জেন মূলত হাত দিয়েই কাজ সারছেন৷ কিন্তু সেই কাজে প্রযুক্তির ভূমিকা বেড়েই চলেছে৷ কম্পিউটার সার্জেনকে মস্তিষ্কের ভিতরের অংশ ও রোগীর অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে চলেছে৷ এত তথ্যের ভিড়ের মধ্যে সবদিকে চোখ রাখা বেশ কঠিন কাজ৷ সার্জেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হলো একটি নীল ফরসেপ৷ প্রো. মাইক্সেনব্যার্গার বলেন, ‘‘একে বলে আলট্রাসাউন্ড শ্যাটারার৷ আলট্রাসাউন্ডের সাহায্যে টিস্যু চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়৷''

সার্জারিতে সহায়তা করছে রোবট

অপারেশন সফল হয়েছে৷ টিমের সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে৷ সার্জেন এ কারণেও খুশি, যে অপারেশনের সময় তাঁকে কম্পিউটারে হাত দিতে হয়নি৷ সেটিই তাঁর ফরসেপ নিয়ন্ত্রণ করে৷ কারণ কম্পিউটারটি বেশ দূরে থাকে৷ প্রো. মাইক্সেনব্যার্গার বলেন, ‘‘এই যন্ত্রটির আংশিক নিয়ন্ত্রণ সবসময়ে সার্জেনের হাতে থাকা উচিত, যাতে প্রয়োজনে অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত অন্য কোনো সার্জেন সেটি নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন৷''

লাইপসিশ শহরের এই নিউরো-সার্জেন এক গবেষণা প্রকল্প শুরু করেছেন৷ পরীক্ষামূলক এক অপারেশন থিয়েটারে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু হবে৷ ইয়ুর্গেন  মাইক্সেনব্যার্গার সেই লক্ষ্যে গবেষকদের সামনে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরছেন৷ সার্জেনের হাতের নাগালেই কম্পিউটার রাখার চেষ্টা চলছে৷ অপারেশন থিয়েটারে যাতে একাধিক কোম্পানির যন্ত্রপাতি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, সেটাও সম্ভব করতে চান তাঁরা৷ প্রো. ইয়ুর্গেন মাইক্সেনব্যার্গার বলেন, ‘‘অপারেশনের সময় যে সব যন্ত্রপাতি কাজে লাগে, সার্জেনকে সেগুলি সরাসরি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিতে হবে৷ যেমন মিলিং মেশিন৷ আমরাই যেন তার গতি ও ফ্রিকুয়েন্সি স্থির করতে পারি৷''

এই টিমে ৩০ জনেরও বেশি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন৷ প্রকল্পের পোশাকি নাম আইসিসিএএস৷ বেশ কয়েক লক্ষ ইউরো অঙ্কের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগে গবেষণা চলছে৷ মেডিকাল সাজসরঞ্জাম নির্মাতারাও এর ফলে উপকৃত হবেন৷ মাক্স রকস্ট্রো বলেন, ‘‘আমরা শিল্পজগতের সঙ্গে একযোগে এই মানদণ্ড তৈরি করছি৷ তাদের বাদ দিয়ে কাজ করে কোনো লাভ নেই৷ শেষ পর্যন্ত এমন খোলামেলা এক স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টি হবে, যেটা যে কোনো কোম্পানি গ্রহণ করতে পারবে৷ একমাত্র সে ক্ষেত্রেই যন্ত্রপাতিতে বাড়তি গুণাগুণ যোগ করা হবে৷''

এই ইন্টারঅ্যাক্টিভ মনিটরের পর্দায় ইঞ্জিনিয়াররা যন্ত্রপাতির সব তথ্য একত্র করছেন৷ একটি পরীক্ষার আওতায় যন্ত্রপাতিগুলি পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করছে৷ মাক্স রকস্ট্রো বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, অপারেশন থিয়েটারের ভবিষ্যৎ হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি৷ বর্তমানে অনেক যন্ত্রের সফটওয়্যার যথেষ্ট উন্নত নয়৷ অন্যান্য শিল্পশাখার তুলনায় সেখানে যন্ত্রপাতি বেশ পিছিয়ে রয়েছে৷ তবে আগামী বছরগুলিতে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে৷''

ভবিষ্যতে ইন্টেলিজেন্ট সফটওয়্যার সার্জেনকে সহায়তা করবে, তাঁর কাজ অনেক সহজ করে দেবে৷ মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সময় এমন রোবটই ফরসেপ হাতের কাছে এগিয়ে দেবে৷

ক্রিস্টিয়ান প্রিসেলিউস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান