1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাহসিকতার জন্য গডফ্রে ফিলিপ্স পুরস্কার পেলেন রাজ ও পারভেজ

৭ মে ২০১০

২৩শে মার্চ ২০১০ - কলকাতার পার্ক স্ট্রিট ছিল সেদিন খবরের শিরোনামে৷ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল স্টিফেন কোর্ট৷ তারই মাঝে, নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য কাতর প্রার্থনা জানাচ্ছিল মানুষ৷ আর সে ডাকেই সারা দিয়েছিলেন এঁরা৷

https://p.dw.com/p/NGwx
স্টিফেন কোর্টে-র আগুন নেভানোর চেষ্টায় দমকল কর্মীরাছবি: AP

রাজ মল্লিক এবং পারভেজ আখতার৷ সেদিন এই অতি সাধারণ দুজন মানুষ নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে এগিয়ে গিয়েছিলেন অভিশপ্ত সেই বাড়ির অগ্নিদগ্ধ তলাগুলির দিকে৷ মৃত্যুর মুখ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন ভিতরে আটকে পড়া প্রায় ২০ জন মানুষকে৷

অবশ্য এরপরেও, প্রায় ৪৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছিল সেই আগুনের গ্রাসে৷ ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছিল স্টিফেন কোর্টের এক এবং দুই তলার অধিকাংশই৷ আদতে ২০টি আবাসিক ফ্ল্যাট এবং ৪৪টি অফিস ছিল স্টিফেন কোর্টে৷ কিন্তু সেদিনের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল অনেক কিছুই৷ এমনকি কার্বন ডাই-অক্সাইড'এর বিষাক্ত ছোবল থেকে রেহাই পান নি ২৫ বছরের রাজ এবং ৩০ বছরের পারভেজও৷ দুজনকেই ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে৷ থাকতে হয় পুরো পাঁচ দিন৷

সে যাই হোক, স্টিফেন কান্ডের এই দুই নায়ককে ভুলে যায় নি মহানগরী৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়েছে৷ সহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে এই দুই তরুণ দিন-মজুরকে হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছ কলকাতা পুলিশ৷ এখানেই শেষ নয়, স্টিফেন কোর্টের অগ্নিকাণ্ডে সাহসিকতার পুরস্কারস্বরূপ গডফ্রে সংস্থার ১৮তম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে রাজ মল্লিক আর পারভেজ আখতার-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই গডফ্রে ফিলিপ্স পুরস্কার৷ পারভেজ-এর কথায়, ‘‘আমি কোন পুরস্কার বা টাকা-পয়সা পাওয়ার জন্য সেদিন বাড়িটির মধ্যে প্রবেস করি নি৷ সে সময় আমি শুধু চেয়েছি নিরপরাধ মানুষগুলোর প্রাণ বাঁচাতে৷ আর এতোজনের প্রাণ বাঁচাতে পেরে আমি আজ সত্যিই আনন্দিত৷''

উল্লেখ্য, লিফটে শর্ট সার্কিট হয়েই সেদিন স্টিফেন কোর্টে আগুন লেগেছিল বলে অনুমান করছেন পুলিশ কমিশনার গৌতম মোহন চক্রবর্তী৷ তবে দমকলমন্ত্রী প্রতিম চট্টোপাধ্যায় ঐ অগ্নিকাণ্ডের দায় পুরসভা এবং বাড়ির মালিকের ঘাড়ে চাপিয়েছেন৷

প্রতিবেদন : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক