1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিকিমে ধসে মৃত তিন, উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি

২৮ জুন ২০২২

প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ধসের কবলে উত্তরবঙ্গ সহ উত্তরপূর্ব ভারত। গ্যাংটকে ধস নামায় তিনজনের মৃত্যু। উত্তরবঙ্গে রেড অ্যালার্ট জারি। আসামের কিছু এলাকা এখনো জলের তলায়।

https://p.dw.com/p/4DLFX
আসামে ভয়াবহ বন্যার ছবি।
আসামে ভয়াবহ বন্যার ছবি।ছবি: Biju Boro/AFP/Getty Images

সিকিমের গ্যাংটকে ধসে মৃত মা ও তার দুই সন্তান। ধসের ফলে বিমল মঙ্গেরের বাড়ি ভেঙে যায়। বিমল এখনো নিখোঁজ। তার স্ত্রী ডোমা শেরপা, তাদের ১০ ও সাত বছর বয়সি দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টির পরেই এই ধস নামে।

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস হলো, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও দিনাজপুরে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। এমনিতেই তিস্তা, তোর্সা, সংকোশ ও জলঢাকা নদীতে জল বেড়েছে। এই বৃষ্টিতে জলস্তর আরো অনেকটাই বাড়তে পারে।

জলপাইগুড়িতে সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় শহরের নীচু এলাকাগুলি জলমগ্ন। টিভি ৯ জানাচ্ছে, করলা নদীর জলে ভেসেছে পরেশ মিত্র কলোনির এলাকা। করলা নীচু এলাকাগুলিকেও ভাসিয়েছে। শহরের কদমতলা, পাণ্ডাপাড়া, মহামায়া রোড, রেস কোর্স পাড়া, স্টেশন রোড এলাকা ডুবে যায়।

আসামের কামরূপ জেলার অবস্থা।
আসামের কামরূপ জেলার অবস্থা। ছবি: Dasarath Deka/ZUMA Press/picture alliance

তিস্তাতে হলুদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তিস্তা-ব্যারেজ থেকে এক হাজার ২৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এখন আবার প্রবল বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। আর উত্তরবঙ্গের নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়া, বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হওয়া মানে বাংলাদেশেও তার আঁচ গিয়ে পড়বে।

আসামের অবস্থা

শিলচরের অবস্থা এখনো খারাপ। শহরের অনেক জায়গাই ডলে ডুবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রয়টার্সকে বলেছেন, কিছু এলাকায় বন্যার জল কমছে। কিন্তু কাছার, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জে পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।

জলমগ্ন ক্যান্সার হাসপাতাল

কাছারে ১৫০ বেডের ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারে জল ঢুকে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালের এই অবস্থা। পরিস্থিতিএতটাই খারাপ যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছ থেকে লাইফ জ্যাকেট ও নৌকা চেয়ে পাঠায়। রোগী ও হাসপাতালের কর্মীদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্যই নৌকা চাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের একটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা দর্শনা জানিয়েছেন, কেমোথেরাপি, প্রাথমিক রোগনির্ণয় থেকে শুরু করে যে সব চিকিৎসা বাইরে করা সম্ভব, তা এখন রাস্তায় করা হচ্ছে।

দর্শনা জানিয়েছেন, জরুরি সার্জারির দরকার হলে হাসপাতালে করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও অ্যানাস্থেশিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস কমে আসছে। চিকিৎসকরা গত সপ্তাহে চারটি অপারেশন করেছেন। আগে তারা সপ্তাহে ২০টি অপারেশন করতেন। আগে সবকটি শয্যা ভর্তি থাকত। এখন ৮৫ জন রোগী আছেন।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, রয়টার্স)