1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিঙ্গাপুরে প্রজনন হার হ্রাস, বাড়ছে বিদেশি কর্মীর চাহিদা

১৯ জানুয়ারি ২০১১

রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে সিঙ্গাপুরিদের প্রজনন হার৷ ২০১০ সালে এই হার সবচেয়ে নিচে নেমে আসে৷ সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী সোমবার এই খবর প্রকাশ করেন৷ এর অর্থ হচ্ছে, সিঙ্গাপুরের বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরশীলতা আরো বাড়ল৷

https://p.dw.com/p/zzPI
সিঙ্গাপুরছবি: DW

উপ-প্রধানমন্ত্রী ওং কান সেং জানালেন, ২০১০ সালে নারী প্রতি শিশু জন্মের হার দাঁড়িয়েছে ১.১৬৷ এর আগে ২০০৯ সালে এই হার ছিল ১.২২৷ অথচ দেশটির অর্থনৈতিক বিকাশ এবং স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য নারী প্রতি শিশু জন্মের হার কমপক্ষে ২.১ থাকাটা জরুরি৷ দেশটির অধিকাংশ দম্পতি একটি শিশু নেওয়াকেই যথেষ্ট বলে মনে করছে৷ এছাড়া সেখানে বিয়ে না করার প্রবণতাও নাকি বেড়ে চলেছে৷ এসব কারণেই প্রত্যাশিত হারের চেয়েও নিচে নেমে যাচ্ছে সেখানে প্রজনন হার, জানাচ্ছে পরিসংখ্যান দপ্তরের খবর৷

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ সালে ৩০ থেকে ৩৪ বছর বয়সি অবিবাহিত পুরুষের হার ছিল ৩৩ শতাংশ৷ অথচ ২০১০ সালে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশ৷ অন্যদিকে, একই বয়সি অবিবাহিত নারীদের হার ২০০০ সালে ছিল ২২ শতাংশ৷ সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশ৷ পরিসংখ্যান দপ্তর জানাচ্ছে, দু'টির বেশি সন্তান থাকলে নগদ অর্থসহ আরো অন্যান্য সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও সেখানে বেশি সন্তান নেওয়ার প্রবণতা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না৷ ফলে জনসংখ্যা বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ ব্যর্থ হচ্ছে বলেই মনে করছে সংস্থাটি৷

‘ইন্সটিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজ' আয়োজিত এক সেমিনারে উপ-প্রধানমন্ত্রী সেং বলেন, ‘‘৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা আমাদের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট শিশু পাচ্ছি না৷ টেকসই জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে আমাদের প্রধান অন্তরায় হয়ে রয়েছে নিম্নমুখী প্রজনন হার৷'' বেশ আক্ষেপের সাথেই তিনি বললেন, ‘‘সিঙ্গাপুরি জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে সরকার বদ্ধপরিকর৷ তবুও আমাদেরকে বিদেশি কর্মী নিয়োগ অব্যাহত রাখতে হচ্ছে৷'' তিনি বলেন, সরকার দম্পতিদেরকে আরো বেশি সন্তান নিতে উৎসাহিত করলেও বাস্তবতা হচ্ছে এর জন্য কিছুটা সময় তো লাগবেই৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন