1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আইন পাস

২০ এপ্রিল ২০১১

সিরিয়ায় কয়েক দশক ধরে কার্যকর জরুরি আইন তুলে নিতে নতুন আইন পাস করেছে সেদেশের সরকার৷ তাসত্ত্বেও, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10wt9
সিরিয়ার সরকার বিরোধী আন্দোলনছবি: AP

জরুরি আইন প্রত্যাহার

জনগণের চাপের মুখে গত শনিবার জরুরি আইন তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ৷ তারই ধারাবাহিকতায় সেদেশের সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নিতে নতুন আইন পাস করেছে৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসাদ এই আইনে স্বাক্ষর করলেই তা কার্যকর হবে, অর্থাৎ সিরিয়ায় কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা জরুরি অবস্থা বাতিল হয়ে যাবে৷ শুধু তাই নয়, সেদেশের সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালত, যেখানে কিনা রাজনৈতিক বন্দিদের বিচার হত, সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভও অনুমোদন করেছে৷ তবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আয়োজনের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হবে৷

সন্তুষ্ট নয় বিক্ষোভকারীরা

জরুরি আইন প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্ত সিরিয়ার জনগণের জন্য এক বিশাল অর্জন৷ তবে, বিক্ষোভকারীরা কিন্তু তাদের অবস্থান ত্যাগ করছে না৷ সেদেশের হোমস শহরে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ৷ প্রত্যক্ষর্শীরা জানিয়েছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী৷ প্রথমে বিক্ষোভকারীদেরকে সরে যেতে বলা হয়৷ এরপর কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোঁড়া হয়৷ ওমর নামের একজন বিক্ষোভকারী বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি কমপক্ষে একজনকে গুলিতে মারা যেতে দেখেছেন৷ গত সপ্তাহান্তে এই শহরেই নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২ জন বিক্ষোভকারী৷

Baschar al-Assad
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদছবি: AP

আন্দোলনরতদের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে দুই শত সিরিয় প্রাণ হারিয়েছে৷ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সিরিয়ার রাজধানীতে দিমাস্কেও৷ সেখানে কয়েক শত মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷

মানবাধিকার পরিষদ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সিরিয়াকে যোগ করা ঠিক হবে না৷ কেননা, সেদেশের মানবাধিকার ভঙ্গের যথেষ্ট রেকর্ড রয়েছে৷ এছাড়া সিরিয়ার জরুরি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি পরিষ্কার নয় বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার৷ বিশেষ করে নতুন আইনে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভ সমাবেশ করতে হলে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি লাগবে৷ টোনারের মতে, এমন হলে নতুন আইনও জরুরি আইনের মতোই নিয়ন্ত্রণপ্রবণ থেকে যাবে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য