1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুর্দি বিদ্রোহীদের প্রতি মার্কিন সহায়তা

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)১৯ জানুয়ারি ২০১৮

সিরিয়া সংকটে এবার আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চাইছে অ্যামেরিকা৷ কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের তৎপরতার ফলে জটিলতা বাড়ছে, যার পরিণতি সুদূরপ্রসারী হতে পারে৷ বিশেষ করে তুরস্ক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷

https://p.dw.com/p/2r81H
সিরিয়ায় কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া বাহিনী
ছবি: Imago/Le Pictorium/C. Huby

গত কয়েক বছরে মার্কিন প্রশাসন সিরিয়া সংকটে তেমন জোরালো ভূমিকা পালন করেনি৷ প্রায় ২,০০০ মার্কিন সৈন্য সিরিয়ায় মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি সামলানো ছাড়া কোনো স্পষ্ট দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য চোখে পড়েনি৷ বিশেষ করে রাশিয়া ও ইরান সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়ে চলেছে৷ সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সিরিয়ায় তাঁর প্রশাসনের লক্ষ্য তুলে ধরেছেন৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পুনরুত্থান থামানো ছাড়াও অ্যামেরিকা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রস্থানের জন্য প্রস্তুত থাকতে চায়৷ সেইসঙ্গে ইরানের প্রভাব প্রতিপত্তি কমানোও ওয়াশিংটনের লক্ষ্য৷ তাই মার্কিন সৈন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরিয়ায় মোতায়েন থাকবে বলে জানান টিলারসন৷

তবে টিলারসন আরও  বলেন, সিরিয়া সংকট সমাধানের লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসন কূটনৈতিক উদ্যোগও চালিয়ে যাবে৷ বিশেষ করে সেই লক্ষ্যে জাতিসংঘের উদ্যোগকে সমর্থন করে অ্যামেরিকা৷ উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ভিয়েনায় সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী পক্ষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

সিরিয়ায় নিজস্ব স্বার্থরক্ষায়অ্যামেরিকা যেভাবে কুর্দি বিদ্রোহীদের সহায়তা দিয়ে চলেছে, তার প্রবল বিরোধিতা করছে তুরস্ক৷ কিছু মার্কিন কর্মকর্তা ৩০,০০০ সদস্যের মিলিশিয়া সৃষ্টি করার কথা বলায় আরও ক্ষুব্ধ হয়েছে আংকারা সরকার৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বিষয়টি সামাল দেবার চেষ্টা করছেন৷

ন্যাটো সহযোগী ও সিরিয়ার প্রতিবেশী হিসেবে তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তুরস্ক মরিয়া হয়ে রাশিয়া ও ইরানের সমর্থন নিয়ে সিরিয়ায় মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জোরালো সামরিক অভিযান চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগেই তুর্কি সেনাবাহিনী সিরিয়ার ইডলিব প্রদেশে প্রবেশ করেছে৷ এবার তারা আফরিন অঞ্চলে বিমান হামলা চালাতে চায়৷ এমন অবস্থায় অ্যামেরিকার প্রস্তাবিত বাহিনীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে৷ সেইসঙ্গে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠতাও ওয়াশিংটনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷