1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সাহায্য দিতে প্রস্তুত জার্মানি

১৩ এপ্রিল ২০১৮

সিরিয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যখন চরমে, তখন আঙ্গেলা ম্যার্কেল সিরিয়ার ব্যাপারে জার্মানির অবস্থান পরিষ্কার করলেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, জার্মানি তার মিত্রদের সাহায্য করবে, তবে সামরিকভাবে নয়৷

https://p.dw.com/p/2vz7C
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kumm

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে ম্যার্কেল দু'দুবার বলেন যে, জার্মান সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় ‘‘সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপে অংশগ্রহণ করবে না৷’’ পাশাপাশি তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার যে গ্রহণযোগ্য নয়, বার্লিন এ বিষয়ে ‘‘একটি স্পষ্ট বার্তা’’ প্রেরণের উদ্যোগকে সমর্থন করে৷

তবে ম্যার্কেল স্বীকার করেন যে, জার্মানির পক্ষে ‘‘একেবারে কিছু না করাও খুব কঠিন৷’’ সে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স যদি সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে জার্মানি অ-সামরিক সহায়তা করার পন্থা খুঁজবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

ম্যার্কেল রাশিয়ার সংযত সমালোচনা করে বলেন যে, মস্কো যে সিরিয়ায় সম্ভাব্য রাসায়নিক সমরাস্ত্র আক্রমণ সম্পর্কে ওপিসিডাব্লিউ-এর অনুসন্ধান আটকে দিচ্ছে, তা ‘‘রাশিয়ার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে না৷’’

সংবাদ সম্মেলনের আগে ম্যার্কেল ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স লকে রাসমুসেনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনায় মিলিত হন৷ রাসমুসেন বলেন যে, সিরিয়া প্রসঙ্গে ডেনমার্কের অবস্থান জার্মানির অনুরূপ৷

ম্যার্কেলের মন্তব্যের আগে ঐ বৃহস্পতিবারেই জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছিলেন যে, ফ্রান্স অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির কাছ থেকে সিরিয়ায় কোনো রকম সাহায্যের অনুরোধ জানায়নি৷ ‘‘কিন্তু আমরা যদি রাশিয়ার উপর চাপ বজায় রাখতে চাই, তবে পশ্চিমি সহযোগীরা তাদের ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারে না,’’ বলে মাস মন্তব্য করেন৷

আন্তঃ-অতলান্তিক সংলাপ ‘আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের ভাষা সম্পর্কে দু'বার ম্যার্কেলকে প্রশ্ন করা হয় – বিশেষ করে ট্রাম্পের টুইটের ফলে কূটনীতি আরো দুরূহ হয়ে উঠেছে কিনা৷ দু'বারই ম্যার্কেল প্রশ্নটি এড়িয়ে যান৷

আন্তঃ-অতলান্তিক সম্পর্কের জন্য নতুন জার্মান সরকারের নিয়োজিত সমন্বয়কর্তা পেটার বায়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের নিজস্ব মনোভাব জ্ঞাপনের অভিনব পন্থা জার্মানির পক্ষে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে৷

‘‘প্রথমত, বৈশ্বিক পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্বাপর জার্মানি ও ইউরোপের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী থাকছে,’’ বায়ার বলেন৷ অপরদিকে আন্তঃ-অতলান্তিক সংলাপের ধারা বদলে গেছে, যার ফলে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে বলে বায়ার মনে করেন৷

তাঁর মতে, সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ শেষ পন্থা, অপরদিকে দুমায় ‘বর্বর, অমানবিক’ গ্যাস হামলারও জবাব দেওয়া প্রয়োজন৷

হোয়াইট হাউসের আগুপিছু

দৃশ্যত হোয়াইট হাউস শেষ মুহূর্তে সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা থেকে কিছুটা দূরে সরে এসেছে: যাবতীয় পন্থা আবার বিবেচনার উপযোগী হয়ে পড়েছে৷ বুধবার একটি বিস্ফোরক টুইটে রাশিয়াকে ‘সুন্দর, হালফ্যাশানের, স্মার্ট’ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তৈরি থাকতে বলার পর, ট্রাম্প বৃহস্পতিবার টুইট করেন, ‘‘কখনো বলিনি সিরিয়ার উপর আক্রমণ কবে ঘটবে; খুব তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে, আবার হয়তো অতটা তাড়াতাড়ি নয়৷’’ 

জার্মানিতে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

জার্মানির অধিকাংশ রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দল সিরিয়ায় বড় আকারের সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধী৷ সামাজিক গণতন্ত্রী রাজনীতিক ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রাল্ফ স্টেগনার রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সের একটি ভিডিও রি-টুইট করেছেন, যে ভিডিওতে স্যান্ডার্স বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে যাবে কিনা, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্টের নয়, বরং মার্কিন কংগ্রেসেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত৷

অবসরপ্রাপ্ত জার্মান জেনারেল হ্যারাল্ড কুইয়াট বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, বিশ্বের দুই পারমাণবিক পরাশক্তির মধ্যে ‘হট ওয়ার’ একটি সম্ভাবনা হয়ে উঠছে এবং জার্মানির উচিত যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে সংযত করা – বিশেষ করে ঐ তিনটি দেশের বর্তমান নেতৃত্বের পরিপ্রেক্ষিতে৷

এক ‘অনভিজ্ঞ’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট, কোণঠাসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং অসাবধানী মার্কিন প্রেসিডেন্ট অজ্ঞাতেই বিশ্বকে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারেন বলে কুইয়াটের আশঙ্কা – যিনি আবার একটু ক্রেমলিন-ঘেঁষা বলে তাঁর সমালোচকদের ধারণা৷

মার্ক হ্যালাম/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য