1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিবন্ধী অ্যাথলিটদের সহায়তা

৯ আগস্ট ২০১৬

খেলাধুলায় সাফল্যের জন্য চাই শারীরিক শক্তি ও দৃঢ় চিত্ত৷ প্রতিবন্ধকতাও সে ক্ষেত্রে কোনো বাধা নয়৷ এক আফগান প্রতিবন্ধী অর্থোপেডিক প্রকৌশলী হিসেবে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিবন্ধী অ্যাথলিটদের সহায়তা করছেন৷

https://p.dw.com/p/1JdPd
Frühling in Hamburg
ছবি: picture-alliance/dpa

এক দুর্ঘটনার পর হামেদ হাজিজাদা আফগানিস্তান থেকে জার্মানি আসেন৷ তাঁর পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে, তিনি কৃত্রিম পা পেয়েছেন৷ তবে এই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি দমে যাননি৷ অর্থোপেডিক প্রকৌশলী হিসেবে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷

তবে দৈনিক জীবনের জন্য কৃত্রিম অঙ্গ যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে তৈরি করতে হয় – তা স্পোর্টস প্রস্থেসিস-এর মতো হলে চলে না৷ রূপে-গুণে তার মান নিশ্চিত করা অর্থোপেডিক প্রকৌশলীদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ তাঁদের একেবারে নিখুঁতভাবে কাজ করতে হয়৷ কারণ সর্বোচ্চ ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খুব কম সময়ের মধ্যে সিলিকন ইচ্ছামতো গড়ে নিতে হয়৷

ডেভেলপাররা পায়ের জন্য এমন এক স্বয়ংক্রিয় প্রস্থেসিস তৈরি করতে সফল হয়েছেন, যা সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে মুভমেন্ট শনাক্ত করে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে৷ মেডিকাল টেকনিশিয়ান মার্টিন পুশ বলেন, ‘‘সি-লেগ তৈরি করার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা আমরা শুরু থেকে দেখতে পাইনি৷ দৈনন্দিন জীবনের সব কাজকর্ম এর মধ্যে পড়ে৷ সেখানে বৈচিত্র্যের অভাব নেই৷ নানারকম হাঁটার গতির প্রেক্ষিতে আমরা বিশেষ ধরনের ভাল্ভ টেকনোলজি ও সেন্সর ভরে দিয়েছি৷ সেইসঙ্গে অ্যালগোরিদম-ও তৈরি করেছি৷''

মস্তিষ্ক সাধারণত হাঁটার ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে৷ সি-লেগের ক্ষেত্রে মাইক্রোচিপ, হাইড্রলিক্স এবং সেন্সরের এক সিস্টেম সেই কাজ করে৷ কৃত্রিম পায়ের উপর চাপের প্রতিটি পরিবর্তন নথিভুক্ত হয় এবং স্বাভাবিক মুভমেন্ট প্যাটার্ন-এ রূপান্তরিত হয়৷ মার্টিন পুশ বলেন, ‘‘মানুষকে যেভাবে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়, বায়োনিক্স-এর ক্ষেত্রে সেটা আমার সবচেয়ে বিস্ময়কর লাগে৷ কারণ তার জন্যই তো কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করছি আমরা৷ বর্তমানে প্রযুক্তিগতভাবে যা করা সম্ভব, তা এখনো আদর্শ পরিস্থিতি থেকে দূরে রয়েছে৷ অর্থাৎ আরও অনেক গবেষণা ও ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আমরা রোগীদের আরও সাহায্য করতে পারি৷''

হামেদের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আর চোখেই পড়ে না৷ পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে তিনি অনেক সংগ্রাম করেছেন৷ তিনি বন্ধু হাইনরিশ পপফ-এর কৃতিত্ব সম্পর্কে খুবই মুগ্ধ৷ অর্থোপেডিক টেকনিশিয়ান হিসেবে তিনি এখন পপফ-কে সাহায্য করছেন৷ দু'জনে মিলে এক আদর্শ টিম হয়ে উঠেছেন৷ প্রত্যেক প্রতিযোগিতার জন্য কৃত্রিম অঙ্গটিকে নতুন করে প্রস্তুত করতে হয়৷ তবে এটা ঠিক, যে হাইনরিশ পপফ তাঁর কার্বন-স্প্রিং নিয়ে সেই সব মানুষের তুলনায় দ্রুত দৌড়াতে পারেন, যাদের দু'টি সুস্থ পা রয়েছে৷ মার্টিন পুশ বলেন, ‘‘মাঝে মাঝে আমি আমার প্রতিবন্ধকতার কথা ভুলেই যাই৷ একবার আমি বাঁ পায়ের জুতো পরিষ্কার করে যখন পরতে গেলাম, তখন প্রথম খেয়াল হলো, যে প্রস্থেসিস-টা পরাই হয়নি৷ এখন আর প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মাথা ঘামাই না, কারণ আমার গোটা শরীর এক হয়ে গেছে৷ কোনো রকম দূরত্ব নেই৷''

খেলাধুলাই হাইনরিশ পপফ-এর ধ্যানজ্ঞান৷ হারজিত যাই হোক না কেন, তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নয়৷ নিজের সাফল্যের মাধ্যমে এই অ্যাথলিট বাকি মানুষদের সাহস যোগাতে চান এবং দেখাতে চান, যে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার মধ্যেও সবসময়ে একটা সুযোগ লুকিয়ে থাকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান