1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীন বৈঠক

১৫ জুলাই ২০২১

সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে বৈঠক করলেন ভারত-চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংহাই কোঅপারেশনের আয়োজনে বৈঠক হয়।

https://p.dw.com/p/3wUvP
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি: Bai Xueqi/Xinhua/imago images

তাজিকিস্তানে মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং ওয়াং ই। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়শংকর। ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত বছর জুন মাসে ভারত-চীন সীমান্তের লাদাখে তীব্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। ভারতের প্রায় ২০ জন সেনা নিহত হন। চীন সংখ্যা না জানালেও তাদের সেনাও আহত এবং নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। এরপর প্রায় নয় মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে দুই দেশের সেনা। গালওয়ান ছাড়াও প্যাংগং লেক অঞ্চলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। ভারত চীনের বিরুদ্ধে এবং চীন ভারতের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলে। সেনা পর্যায়ে একাধিক আলোচনা এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর সমাধানসূত্র বের হয়। দুই দেশই ঠিক করে প্যাংগং অঞ্চল থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়া হবে। গত কয়েক মাস ধরে সে কাজ চলেছে। উত্তাপও খানিকটা কমেছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়নি।

প্যাংগং অঞ্চল থেকে সেনা সরলেও অন্যান্য বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে এখনো সেনা দাঁড়িয়ে আছে। দুই দেশই আধুনিক সমরাস্ত্র মজুত করে রেখেছে প্রকৃত সীমান্তরেখার অদূরে। বুধবার এই বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীই স্থির করেছেন, দ্রুত সেনা পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে। বৈঠকের পর চীনের মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন জয়শংকর।

ভারতের বক্তব্য, গত বছরের এপ্রিলের আগে দুই দেশের সেনার সীমান্তে যে অবস্থান ছিল, সেখানে ফিরে যেতে হবে। প্যাংগংয়ের মতো অন্য বিতর্কিত অঞ্চল থেকেও সেনা পিছিয়ে নিতে হবে। ভারতীয় কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চীন তাতে রাজি নয়। এবং সে কারণেই সমাধানসূত্র মিলছে না। তাদের বক্তব্য, বুধবারের বৈঠকেও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্ভবত সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাননি। সে কারণেই নতুন করে সেনা স্তরের বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। তবে দুই দেশের মন্ত্রীই একটি বিষয়ে সহমত হয়েছেন, সীমান্তে উত্তেজনার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত তার সমাধান প্রয়োজন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)