1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুখ নির্ভর করছে কি নিজের ওপর?

১৬ অক্টোবর ২০১০

জার্মান গবেষকরা বলছেন, যারা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের প্রাধান্য দেয়, পরোপকারের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলে এবং নানা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখে, তারা নাকি যারা কেবল টাকা-পয়সা ও উন্নতির পেছনে ছোটে তাদের চেয়ে বেশি সুখী৷

https://p.dw.com/p/Pfbz
Laughing, India, সুখ, সুখী, হাসি, জার্মানি
আন্তর্জাতিক হাসি দিবসে সুখী মানুষদের ভিড় (ফাইল ছবি)ছবি: AP

দীর্ঘদিন ধরে চালিত জার্মানির একটি গবেষণামূলক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সুখ বিষয়টি বংশানুক্রমিক ধারার চাইতে বরং আমাদের ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের সঙ্গেই বেশি জড়িত৷ গত পঁচিশ বছর ধরে ষাট হাজার জার্মানের উপর চালিত ‘জার্মান স্যোসিও-ইকোনমিক প্যানেল সার্ভে' র তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকদের আন্তর্জাতিক দলটি৷

আর এই গবেষনাটির ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে ‘প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্স' সাময়িকীতে৷

এই গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে, পরোপকার করার মানসিকতা, অর্থ উপার্জন করার চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ পরিবার, সমাজ এবং ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত রাখার মধ্য দিয়েই প্রকৃত সুখ সম্ভব৷

১৯৭০ এর দশকে অনেক বিজ্ঞানীই ভাবতেন, প্রতিটি মানুষের সুখের একটা স্তর রয়েছে৷ জীবনের উত্থান-পতন থাকলেও তাঁরা সবসময় সে জায়গায় ফিরে যান৷ আর এটিই ‘সেট পয়েন্ট থিওরি'৷ এই থিওরিতে বংশানুক্রমিক ধারা ও শিশুকালের অভিজ্ঞতার উপর জোর দেওয়া হয়েছিলো৷ কিন্তু সম্প্রতি গবেষণাটির ফলাফল ‘সেট পয়েন্ট থিওরি'কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷ এখন ব্যক্তিবিশেষে সুখী হওয়ার কারণগুলি নতুন করে বিবেচনা করে দেখছেন মনোবিজ্ঞানীরা৷

নতুন এই গবেষণাটির গবেষকদের অন্যতম ‘জার্মান ইন্সিটিউট ফর ইকোনোমিক রিসার্চ' এর অর্থনীতিবিদ এবং ‘মাক্স প্ল্রান্ক ইন্সটিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলোপমেন্ট'এর ফেলো গ্যার্ট ভাগনার৷ বলছেন, তাঁদের গবেষণার ফলাফল দেখাচ্ছে, ‘সেট পয়েন্ট থিওরি' মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষের কথা বলে, বাকিদের কথা বলেনা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনে যাদের চাওয়া পাওয়া পরিবর্তিত হয়৷

নতুন এই গবেষণাটি বলছে, একজন মানুষ তার জীবনে কোন বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিচ্ছে সেটার ওপরই নির্ভর করছে তাঁর সুখ৷ আর সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ তবে গ্যার্ট ভাগনার ও তাঁর সহকর্মী অন্যান্য গবেষকরা একথাও বলছেন, সঙ্গী যদি ভালো না হয় তাহলে অসুখী হওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই৷

আর মনোবিজ্ঞানীরা নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করছেন, একজন মানুষের সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ ও বংশানুক্রমিক ধারা দু'টি বিষয়ই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে৷ তাই এই দু'টি থিওরি একযোগে কাজ করতে পারে মানুষের সুখ নির্ণয়ের জন্য৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক