1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুচিত্রা মিত্রের শেষকৃত্য সম্পন্ন

৪ জানুয়ারি ২০১১

গানে, ফুলে, শ্রদ্ধায় আর চোখের জলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্রের৷ শেষযাত্রায় পা মেলালেন বিশিষ্ট শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/ztWH
Suchitra, Mitra, last journey, her home, Kolkata, Indien, ভারত, সুচিত্রা, মিত্র, রবীন্দ্র, সংগীত, শিল্পী, কলকাতা,
নিজ বাড়ি থেকে সুচিত্রা মিত্রের শেষ যাত্রাছবি: DW

যদিও তাঁর মাথার চুল অনেকদিন ধরেই কাশফুলের মত সাদা৷ অনুষ্ঠান করতে যখন মঞ্চে, তখনও তিনি আভরণহীন থেকেছেন, কানে হীরের দুল আর বাঁ হাতের মনিবন্ধে হাতঘড়িটি ছাড়া৷ পরতেনও সাদা বা হাল্কা রঙের শাড়ি৷ কিন্তু তিনি নাকি সাদা রঙের ফুল একেবারেই পছন্দ করতেন না৷ তাই তাঁর মরদেহ রঙিন ফুলে ভরিয়ে দিলেন সুচিত্রা মিত্রের গুণগ্রাহীরা৷ রক্তলাল গোলাপ থেকে শীতের মরশুমি ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকার রঙের উচ্ছ্বাস, শেষযাত্রায় রানির মত চলে গেলেন তিনি৷ কত যে লোক এসেছিলেন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে৷ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা তো ছিলেনই, ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পীরা, রাজনীতির লোকজন এবং অগণিত সাধারণ মানুষ৷

মঙ্গলবার সকাল সওয়া নটা নাগাদ পিস হাভেন থেকে সুচিত্রা মিত্রের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে৷ সেখানে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির নিচে তৈরি এক অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয়েছিল মরদেহ৷ তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে এখানেই পুষ্পস্তবক পাঠিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রয়াত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন রবীন্দ্র সদনে৷ দুপুর ১২টা নাগাদ জোড়াসাঁকো থেকে এখানেই আনা হয় সুচিত্রা মিত্রের মরদেহ৷ আরও দু'ঘণ্টা পর সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁরই প্রতিষ্ঠিত গানের স্কুল রবিতীর্থে৷ এখানে মানুষের ঢল নেমেছিল এদিন৷ ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়৷ মরদেহ যখন ক্যাওড়াতলা শ্মশানে পৌঁছয়, তখন সেখানেও জনসমুদ্র৷ কত মানুষ তাঁর গুণমুগ্ধ ছিলেন, সেটা দেখার বাকি ছিল এই শহরের৷ বিকেল সওয়া চারটে৷ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে ছাই হয়ে গেছে কিংবদন্তী শিল্পীর নশ্বর দেহ৷ বাইরে তখন মানুষ সমবেত কণ্ঠে গান ধরেছেন তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে৷

এদিন সকালে শান্তিনিকেতনেও আশ্রমিকরাও তাঁদের প্রিয় আশ্রমকন্যার স্মরণে একটি অনুষ্ঠান করেন, যেখানে গাওয়া হয়, তবু মনে রেখো৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য