1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুন্দরবনের বাঘ বাঁচাতে মানুষের পাহারা

৩০ মার্চ ২০১০

সুন্দরবনে বাঘের খাবার কমে যাওয়ায়, কিংবা পরিবেশের নানা বিড়ম্বনার কারণে মাঝে মাঝে বাঘ ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে৷ আর তখনই এসব বাঘকে মারা হচ্ছে পিটিয়ে৷ ফলে বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/MhQm
ফাইল ফটোছবি: AP

এবার তাই বাঘ বাঁচাতে টহল বা পাহারার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার৷ গত কয়েক বছরে আশঙ্কাজনকহারে বাঘ পিটিয়ে মারার ঘটনার পর এই উদ্যোগ৷ এই প্রসঙ্গে সরকারের বন বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব জানান, বিলুপ্তপ্রায় এই বাঘ প্রজাতি বাচাঁতে সুন্দরবনের আশেপাশের গ্রামের মানুষের সহায়তা ছাড়া কোন উপায় নেই৷

২০০৪ সাল পর্যন্ত যে সরকারি তথ্য রয়েছে তাতে ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটারের সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে মাত্র ৪৫০টি৷ অবশ্য বাঘ বিশেষজ্ঞ মনিরুল খান জানিয়েছেন, বর্তমানে সুন্দরবনে সরকারের এই হিসেবের অর্ধেক বাঘ রয়েছে৷ এদেরকে যদি বাঁচিয়ে রাখা না যায়, তাহলে পৃথিবীর বুক থেকে এই প্রজাতির বাঘ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

ফলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সুন্দবনের সঙ্গে লাগোয়া কয়েকশত গ্রামের প্রতিটিতে দশ সদস্যের দল তৈরি করা হবে, যাদের কাজ হবে বাঘ পাহারা দেয়া৷ আব্দুল মোতালেব জানান, এই দল গ্রামে বাঘ প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বন কর্মকর্তাদের জানাবেন৷ একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের বাঘ মারা থেকে বিরত রাখবেন৷

উল্লেখ্য, গত বছরও সুন্দরবনে মাছ ধরতে বা মধু আহরণ করতে গিয়ে মারা পড়েছে ৩০ জন মানুষ৷ একারণেই সুন্দরবনের আশেপাশের সাধারণ মানুষ বাঘকে নিজেদের চরম শত্রু বলেই মনে করে থাকে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী