1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সেক্যুলার’ প্রকাশক খুন, আবারো আক্রান্ত ব্লগাররা

৩১ অক্টোবর ২০১৫

কয়েকদিন আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, খুনিরা সম্ভবত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে৷ ব্লগারদের উপর আক্রমণ আসন্ন৷ সেই শঙ্কা সত্যি হলো, অথচ তাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসলো না৷

https://p.dw.com/p/1Gxhd
Bangladesch Demonstration gegen extremistische Gewalt
ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad

জাগৃতি প্রকাশনীর ফয়সাল আরেফিনকে শাহবাগে তাঁর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷ ‘সেক্যুলার' প্রকাশক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি৷ ওদিকে পৃথক একটি হামলায় ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল গুরুতর আহত৷ আহত ব্লগার রণদীপম বসু এবং তারেক রহিম৷ শনিবার দুপুরে টুটুলের কার্যালয়ে তাঁদের কোপানো হয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়েছে দ্রুত৷ তবে এভাবে আর কতদিন চলবে?

ঢাকায় খুন হওয়া অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক টুটুল৷ তাঁর উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কা ব্লগাররা প্রকাশ করেছেন আগেই৷ খুনিদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল, এই দাবি তাঁদের তাসত্ত্বেও নিরাপত্তা দেয়া হয়নি তাঁকে৷ কয়েকদিন আগে লিখেছিলাম ব্লগারদের উপর হামলার প্রস্তুতি বুঝি আবার শুরু হয়েছে৷ গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের' ই-মেল দেখে সেই শঙ্কা জেগেছিল৷ গণমাধ্যমে সেই সংবাদ প্রকাশের পরও পুলিশ প্রশাসন যে সতর্ক হয়নি, সেটা বোঝা গেল আজকের ঘটনার পর৷

গত জুনে ঢাকায় পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছিল৷ তিনি তখন বলেছিলেন, সব ব্লগারের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়৷ কিন্তু কেউ কি সব ব্লগারের নিরাপত্তা চাইছে? খুনিরা তালিকা ধরে খুন করছে৷ এখন পর্যন্ত যে ব্লগাররা খুন হয়েছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি আগেই বোঝা গিয়েছিল৷ টুটুলরা আক্রান্ত হতে পারেন, সেই শঙ্কা ছিল৷ ফলে সব ব্লগার নয়, বরং নির্দিষ্ট কিছু ব্লগারের জীবন ঝুঁকির মুখে৷ সেই ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপত্তা দিতে এত অনীহা কেন পুলিশের?

দু'দিন আগে আরো এক ব্লগারের বাড়িতে হানা দেয়ার চেষ্টা করেছিল সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তরা৷ সেই চেষ্টা সফল হয়নি৷ ফলে সেই ব্লগার বেঁচে গেছেন৷ আলোচিত সেই ব্লগারও আছেন ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘হিট লিস্টে৷' এই লিস্ট এমন এক সময় প্রকাশ হয়েছিল, যখন ঢাকার রাজপথে ‘নাস্তিক ব্লগারদের' হত্যার দাবিতে মিছিল করছিল উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী ‘হেফাজতে ইসলাম৷' এখন পর্যন্ত ব্লগার খুনের পরপর যে দু'জন আটক হয়েছেন, তারা স্বীকার করেছেন যে তারা মাদ্রাসার ছাত্র৷ যদিও পুলিশ এই তথ্যটুকু সযতনে এড়িয়ে যাচ্ছে৷ আর ব্লগারদের ফাঁসি চাওয়া হেফাজতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্কটাও পাকাপোক্ত হচ্ছে৷ যেটা বোঝা যায় তখন, যখন রেলের জমি তাদের নামে বরাদ্দ হয়৷

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে৷ গণমাধ্যম হারাচ্ছে স্বাধীনতা, আর ব্লগার, প্রকাশকরা প্রাণ৷ অন্যদিকে, নিরব প্রশাসন, সরকার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য