1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোনা হল না শেষে, সানিয়ার মনখারাপ

১০ অক্টোবর ২০১০

হল না৷ সানিয়া মির্জার তো বটেই, ভারতেরও সোনা ফস্কাল টেনিসে৷ ফাইনালে উঠেও রুপো নিয়ে শুকনো মুখে ফিরে গেলেন সানিয়া৷ তাঁকে হারিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার রোডিওনোভা৷ ফলে কমনওয়েলথে আরেকটি আশার অপমৃত্যু দেখল ভারত৷

https://p.dw.com/p/PaNH
সানিয়া মির্জাছবি: AP

শনিবারের ফাইনাল

প্রথম সেটে সানিয়ার হার৷ ফলাফল অস্ট্রেলিয়ার রোডিওনোভা আনাস্তাসিয়ার পক্ষে ৩-৬৷ ঠিক পরের সেটটাতেই গ্যালারিতে হৈচৈ ফিরিয়ে আনলেন ভারতের সেরা মহিলা টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা৷ ফলাফল ৬-২৷ গ্যালারিতে তখন উদ্দাম আনন্দে নাচতে শুরু করেছেন ভারতের সমর্থকরা৷ স্লোগান উঠে গেছে, ‘জিতেগা ভাই জিতেগা সানিয়াবালা জিতেগা৷' কিন্তু শেষ সেটে আর দম ফিরে পেতে দেখা গেল না সানিয়া মির্জাকে৷ দাঁতে দাঁত টিপে লড়াইটা চালালেন ঠিকই৷ কিন্তু ম্যাচ চলে গেল ইস্পাত নার্ভের অস্ট্রেলিয় তরুণী রোডিওনোভার হাতে৷ ফলাফল ৭-৬ (৭-৩)৷

পরাজয়ের ব্যাখ্যা

বিশেষজ্ঞরা তো ব্যাখ্যা দেবেনই৷ সানিয়া নিজে খেলার পরের আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন নি৷ যুক্তি ছিল, ডাবলসের সাফল্যের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চান৷ আসলে হেরে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্টই হয়েছে সানিয়ার৷ গোলাপি টি শার্ট আর শাদা শর্টস ছিল শনিবার শোয়েব মালিকের বিবি সানিয়া মির্জার পরনে৷ কিন্তু খেলার শেষে সব ঔজ্জ্বল্য, সব গ্ল্যামার ম্লান দেখাল৷ বিশেষজ্ঞ টেনিস খেলুড়েদের কথায়, সানিয়ার ফিটনেস যথেষ্ট ছিল না৷ কোর্টের এমাথা থেকে ওমাথায় ছুটতে পারেন নি প্রয়োজনে৷ তাছাড়া রোডিওনোভা যেভাবে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন আগাগোড়া, সেটাও দেখা যায়নি সানিয়ার মধ্যে৷ এদিকে বিশ্ব ব়্যাংঙ্কিং-এও দুজনের বিস্তর ফারাক৷ সানিয়ার জায়গা এই মুহূর্তে বিশ্বের টেনিস মেয়েদের মধ্যে ১৩২ নম্বরে৷ আর প্রতিদ্বন্দ্বী রোডিওনোভা আনাস্তাসিয়ার জায়গা হল ৬২তে৷ সুতরাং সেটাও তো মনে রাখতে হবে৷ এই ব্যবধান একটা মানসিক চাপ তো তৈরি করেই! রোডিওনোভা কিন্তু স্বীকার করেছেন ঘরের মাঠে সানিয়ার মুখোমুখি হওয়ার চাপ নিতে হয়েছে তাঁকেও৷ তারপরেও জিতেছেন কিন্তু তিনিই৷ সানিয়া নয়৷ ঘরের মাঠে, দেশজুড়ে জাতীয় সমর্থনের পরেও নয়৷

ভারতের ঝুলিতে অনেক সোনা

টেনিসে ভারত তার প্রত্যাশা মেলাতে পারে নি বটে, কিন্তু অন্যদিকে মোট পদকের সংখ্যায় কিন্তু ভারত এবার রেকর্ড করার দিকেই জোরকদমে আগাচ্ছে৷ মেলবোর্নের আসরে শেষবার ২০০৬ সালে ভারতের দখলে মোট ৫০টা পদক ছিল৷ সোনা ছিল ২২টা৷ শনিবার শ্যুটিং আর কুস্তি থেকে আরও চারটি স্বর্ণপদক আসার পর মোট সোনা ইতিমধ্যেই ২৪ আর মোট পদক ৫৬৷ তিরন্দাজি, বক্সিং থেকে বেশ কয়েকটা পদক এখনও বাকি রয়েছে৷ যেগুলো ভারত প্রায় জিতেই বসে আছে৷ তাই আশার আলো যথেষ্ট৷ সম্ভবত আয়োজক দেশই জিতে নেবে রেকর্ডসংখ্যক পদক৷ ম্যাঞ্চেস্টারে ২০০২ সালে ৬৯টি পদক জেতার রেকর্ড আছে ভারতের৷ এবার সে রেকর্ড ভেঙে যাবে নতুন দিল্লীর ১৯ তম কমনওয়েলথ গেমসে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম