1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা

৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ নিয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য অর্জন করতে পারলেন না৷ আগামী কয়েক দিনে অগ্রগতির আশা করছে দুই পক্ষ৷

https://p.dw.com/p/2oi4N
এখনো বিচ্ছেদ নিয়ে ঐকমত্যের আশা ছাড়ে নি ব্রিটেন ও ইইউ
ছবি: picture alliance/AP Photo/V. Mayo

সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে পারলেন না৷ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়গুলির এখনো নিষ্পত্তি হলো না৷ বিশেষ করে ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের সঙ্গে আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সীমানা নিয়ে জটিলতা এখনো কাটছে না৷ আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেন এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে পারলেও ব্রিটেনের জোট সরকারের এক শরিক দল সেই বোঝাপড়া মানতে চাইছে না৷  অন্যদিকে ব্রেক্সিটের পরেও সেই সীমান্তে কোনো পরিবর্তন না আনার প্রস্তাবের দৃষ্টান্ত অনুকরণ করতে চাইছে স্কটল্যান্ড ও লন্ডন শহর৷ ফলে ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে৷

আসলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায়ের সিদ্ধান্ত যতটা সহজ ছিল, বিচ্ছেদ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করার কাজ তটতাই কঠিন হয়ে উঠেছে৷ ইইউ শুরু থেকে যে যাত্রাপথ স্থির করে দিয়েছিল, তা থেকে বার বার বিচ্যুত হয়েছে ব্রিটেন৷ ইইউ-র বাকি সদস্যদের অবস্থান স্পষ্ট – আগে বিচ্ছেদের বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করতে হবে, তারপর ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে৷ এর মধ্যে প্রধান বিষয় হলো ব্রিটেনের বকেয়া চাঁদা, ব্রিটেনে ইইউ নাগরিক ও ইউরোপে ব্রিটিশ নাগরিকদের অধিকার এবং আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের স্থলসীমানার ভবিষ্যৎ৷

কিন্তু ব্রিটেন এতকাল সেই বাস্তব অস্বীকার করে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করছিল৷ সোমবার ব্রাসেলসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ও ইইউ কমিশন প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলিত হন৷ আগে থেকেই স্থির ছিল, যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিলে তবেই ইইউ-র সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ নেতারা৷ আগামী ১৫ই ডিসেম্বর তাঁদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ তার আগেই ঐকমত্য অর্জন করতে হবে৷ তা না হলে কোনো চুক্তি ছাড়াই ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট কার্যকর হবার আশঙ্কা রয়েছে৷ 

টেরেসা মে পড়েছেন উভয় সংকটে৷ তাঁর রাজনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দলের মধ্যে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা ইইউ-কে ছাড় দেবার বিষয়ে তর্জনগর্জনকরছেন৷ অন্যদিকে ইইউ-র ধৈর্যের সীমানাও শেষ৷ অথচ ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে এখনই আলোচনা শুরু না করলে ২০১৯ সালের মধ্যে তা শেষ হবে না৷ ব্রিটিশ শিল্প ও বাণিজ্যজগত সেই অনিশ্চয়তার মুখে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ 

সোমবার চূড়ান্ত ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব না হলেও আগামী দিনগুলিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে কাজ করছে দুই পক্ষ৷ ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই তিনটি বিষয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি অর্জন করতে চায় দুই পক্ষ৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য