1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে হামলার প্রভাব জ্বালানি তেলের বাজারে

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সৌদি আরবের দুইটি প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় চালানো হামলায় দেশটির জ্বালানি তেলের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে৷ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে রিয়াদ ও ওয়াশিংটন৷

https://p.dw.com/p/3PdDw
ছবি: Reuters

শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরামকোর দুইটি তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনায় বড় ধরনের ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এর পেছনে নিজেদের দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা

হামলার কারণে দুইটি প্লান্টের দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেলের তেল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, যা দেশটির মোট উৎপাদনের অর্ধেক আর বৈশ্বিক গড় উৎপাদনের ৫ ভাগ৷

এদিকে শনিবারের এই ঘটনায় জ্বালানী তেলের দরে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ‘‘সৌদি আরবে যে কোন ধরনের হামলাই তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করবে, কেননা জ্বালানী তেল উৎপাদনের বড় অংশই তাদের দখলে,’’ বলেন এনভেরাস নামের একটি বাজার বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট বারনাদেত্তে জনসন৷ তাঁর মতে এই দুইটি প্লান্টের উৎপাদন সহসায় শুরু না হলে দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটতে পারে৷ 

সিএনবিসি বিভিন্ন বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে বলছে, সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন শুরু হলে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম তাৎক্ষণিকভাবে ৫ থেকে ১০ ডলার বাড়বে৷ যা শেষ পর্যন্ত ১০০ ডলারও স্পর্শ করতে পারে৷ সবশেষ শুক্রবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে প্রতি ব্যারেল ৬০ দশমিক ২২ ডলার৷

এদিকে এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে রিয়াদ ও ওয়াশিংটন৷ হুতি বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ তিনি বলেন ইয়েমেন থেকে ড্রোন আসার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ বিশ্বের জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যবস্থায় এমন হামলা নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি ইরানের উপরই দায় চাপিয়েছেন৷ পাশাপাশি সব দেশকে ইরানের এই হামলার প্রতি নিন্দা জানানোর আহবান জানান৷ 

     

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়ে পম্পেও ইরানের সাথে ’সর্বোচ্চ প্রতারণা’ শুরু করেছেন৷      

এফএস (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য