1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুল কলেজ আবার খুললো অশান্ত কাশ্মীরে

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০

সাড়ে তিন মাস পর সোমবার থেকে ভারত-নিয়ন্ত্রিত অশান্ত কাশ্মীরে স্কুল কলেজ খুললো৷ পড়ুয়া ও শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য কারফিউ আংশিক শিথিল করা হয়৷ স্কুল বয়কটের সঙ্গে হরতালের ডাক দিয়েছেন কট্টরপন্থি হুরিয়াত নেতা আলি শাহ গিলানি৷

https://p.dw.com/p/PNmU
ফাইল ফটোছবি: AP

কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের কাশ্মীর সফরশেষে যে সুপারিশ করা হয়, তার ভিত্তিতে সরকার আট-দফা সমাধানসূত্র ঘোষণা করেন৷ তারই অঙ্গ হিসেবে আজ থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় স্কুল কলেজ আবার খোলে৷ শিক্ষক ও পড়ুয়াদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য শিথিল করা হয় কারফিউ৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পিরজাদা মহম্মদ সাঈদ ক্লাস শুরু করে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷ অশান্ত উপত্যকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার খোলায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে৷ পড়ুয়ারা খুশি৷

কিন্তু কট্টরপন্থী হুরিয়াত নেতা আলি শাহ গিলানি স্কুলকলেজ বয়কটের সঙ্গে দশদিনব্যাপী হরতালের ডাক দেন৷ এতে স্কুলে হাজিরা ছিল বেশ কম৷ বেসরকারি স্কুল কতৃপক্ষ সেদিকে তাকিয়ে আজ স্কুল খোলেননি৷ পরিস্থিতি দেখে সম্ভবত আগামিকাল থেকে খুলতে পারে৷ পাথর ছোঁড়া বাহিনী আজ স্কুল বাস লক্ষ করে পাথর ছোঁড়ে৷ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষের কথা জানা গেছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম এক বিবৃতিতে বলেন, কোন সুস্থ চিন্তার লোক স্কুল বাসে পাথর ছুঁড়তে পারেনা৷ এটা গুন্ডামি৷ কট্টর হুরিয়াত নেতা গিলানির মতে, আট-দফা প্যাকেজ কাশ্মীরিদের চোখে ধুলো দেবার চেষ্টা৷শিক্ষার নামে আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে সরকার৷ পাশাপাশি মধ্যপন্থী হুরিয়াত নেতা মীরওয়াইজ ওমর ফারুক আট-দফা সমাধান সূত্র নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ ফেলতে চাইছেন৷ এ বিষয়ে দলের কার্যনির্বাহিদের বৈঠক ডেকেছেন আজ তিনি৷

আট-দফা সমাধানসূত্রে আছে, বিক্ষোভকালে নিহতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় আটক ছাত্র ও যুবকদেরমুক্তি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়া, রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠি, ছাত্র ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে একটি মধ্যস্থতাকারী দল নিয়োগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা সাহায্য, রাজ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্প খতিয়ে দেখতে টাস্কফোর্স গঠন, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ইত্যাদি৷ তবে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ