1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আচরণ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে স্টারবাকস

২৯ মে ২০১৮

দুই কৃষ্ণাঙ্গের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়া কফি চেইন শপ স্টারবাকস অ্যামেরিকাজুড়ে ৮ হাজার দোকান বন্ধ রেখে কর্মীদের আচরণগত প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/2yUs6
ছবি: Getty Images/M. Makela

গত ১৮ এপ্রিল দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার তারা ওই প্রশিক্ষণ শুরু করেছে৷

এর আগে গত এপ্রিলে ফিলাডেলফিয়া রাজ্যের স্টারবাকসের একটি শাখায় দু'জন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি টয়লেট ব্যবহার করতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন স্টারবাকসের এক বিক্রয়কর্মী৷ পরে পুলিশ ডেকে ঐ দুই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে ধরিয়ে দেওয়া হয়৷

ওই ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও খুব দ্রুত টুইটারে ভাইরাল হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টারবাকসকে বর্ণবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করে বর্জনের পক্ষে দ্রুত জনমত গড়ে উঠতে থাকে৷

এর প্রেক্ষিতে স্টারবাকসের প্রধান নির্বাহী কেভিন জনসন শুরু থেকেই দুঃখ প্রকাশ করে আসছিলেন৷ এরকম জাতিগত বা বর্ণবাদী ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে কারণে তখনই তিনি কর্মীদের আচরণগত প্রশিক্ষণের ঘোষণা দিয়েছিলেন৷

গায়ের রং, লিঙ্গ এবং সামাজিক পরিচয়ের ভিত্তিতে পক্ষপাত বা পূর্ব ধারণাবশত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়ে কর্মীসভায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷

স্টারবাকসের কর্মীদের কাছে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী, আচরণগত সমস্যা সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের ক্ষেত্রে কী ধরনের কৌশল নিতে হবে, সেটি বলা রয়েছে৷ সমস্যা সমাধানের আগে কী হয়েছিল, পুলিশ ডাকা হয়েছিল কি না– সেসবের সাথে পরিস্থিতি মিলিয়ে নিতে বলা হয়েছে৷

কতটুকু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে একজন স্টারবাকস কর্মী পুলিশে খবর দেবেন সেটাও বিবেচনার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে৷

কর্মীদের আচরণগত প্রশিক্ষণের জন্য ‘দ্য পারসেপশন ইনস্টিটিউট' নামের গবেষকদের একটি কনসোর্টিয়াম সহায়তা করে যাচ্ছে৷ তারা গবেষণার ভিত্তিতে বলছে, অপরিচিত কৃষ্ণাঙ্গদের অপরাধী ভাবার একটি সুপ্ত প্রবণতা রয়েছে সাদা চামড়ার লোকদের৷

কনসোর্টিয়ামে সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ম্যাকগিল বলেন, ‘‘আমরা কর্মীদের শেখাতে চাই– আপনি খারাপ লোক নন, কিন্তু কোনও একদল মানুষ সম্পর্কে পূর্ব ধারণা রয়েছে৷ আমরা কেবল বলতে চাই, কেন এসব পূর্ব ধারণা মানুষের মাথায় রয়েছে৷''

৪৫ সেকেন্ডের ছোট এ ভিডিওটিতে দেখা গেছে কৃষাঙ্গ দু'জনের কাছে এমনকি সামান্য ব্যাগ পর্যন্ত ছিল না৷ এ ঘটনায় অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে আটকদের ছাড়া হয় ঠিকই, কিন্তু টুইটারে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়৷

এইচআই/এসিবি (এএফপি, এপি)