স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয় উরুগুয়ের
১৭ জুন ২০১০বাফানা বাফানা'র সুর ম্লান হয়ে গেল সময়ের একটু আগেই৷ সেই সাথে কমতে থাকে মৌমাছির গুঞ্জন৷ বিতর্কিত গুঞ্জনের উৎস ভুভুজেলা ততক্ষণে জায়গা বদলাতে শুরু করেছে৷ স্বাগতিকদের বিপুল সংখ্যক সমর্থক ভুভুজেলাকে বগলদাবা করে একে একে মাঠ ছাড়তে শুরু করে খেলার আশি মিনিটের পর থেকেই৷ কারণ এর মধ্যেই মাঠ থেকে লাল সংকেত নিয়ে ফিরে আসতে হয় ভক্তদের প্রিয় তারকা ইটিমুলেঙ্গ খুনেকে৷
অ্যাজাক্স তারকা লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে বলটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেন খুনে৷ কিন্তু এর মধ্যেই নিজ পা দিয়ে সুয়ারেজের বাম বুটের সামনে দিকটা আটকিয়ে দেন খুনে৷ সজোরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুয়ারেজ৷ খুনে'কে ক্ষমা করতে পারেননি সুইস রেফারি মাসিমো বুসাকা৷ ফলে গোলপোস্টের মাঝে নতুন কোন রক্ষক বসাতে মাঠ থেকে সরাতে হয়েছে স্ট্রাইকার স্টিভেন পিনারকেও৷ তাঁর বদলে মাঠে নামেন রিজার্ভ গোলকিপার মোনিব জোসেফ৷ তখন থেকে ১০ জন খেলোয়াড় নিয়েই শেষ চেষ্টা চালাতে হয়েছে স্বাগতিকদের৷ আর খুনে'র অপরাধের কারণেই মূলত পেনাল্টি শটে খাওয়া দ্বিতীয় গোলটি হজম করতে হয় বাফানা বাফানাদের৷
আর খেলার শেষ মুহূর্তে আলভারো পেরেরার হেড থেকে পাওয়া গোলের ফলে ৩-০ গোলে জয় উরুগুয়ের৷ এতটা ব্যবধানে স্বাগতিকদের হার খুবই বিরল৷ ১৯৭০ সালের পর এটিই প্রথম৷ সত্তরের আসরে স্বাগতিক মেক্সিকো ৪-১ গোলে হেরেছিল ইটালির কাছে৷ বুধবারের জয়ের পর দু'টি ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট নিয়ে দু'বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে এখন বেশ এগিয়ে৷ স্বাগতিকদের ঝুলিতে মাত্র এক পয়েন্ট৷
অবশ্য, এখনও আশাবাদী কার্লোস আলবার্টো প্যারেরা৷ বললেন, ‘‘খেলা কেমন হলো তার সবকিছুই ফলাফলের উপর নির্ভর করে না৷ তবে উরুগুয়ে একটি ভালো দল এবং তাদের দলে ফোর্লানের মতো অনেকগুলো ভালো খেলোয়াড় রয়েছে৷'' ‘‘আমাদের আশা ফুরোয়নি৷ ফ্রান্সকে আমাদের হারাতে হবে৷ আর সেজন্য আমাদের আরো আক্রমণাত্মক হতে হবে,'' বলেন প্যারেরা৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম