1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তান, Pakistan, Health, স্বাস্থ্য

১১ জুলাই ২০১০

জঙ্গিবাদ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বিষয়টিই এযাবৎ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ও মিডিয়ায় আলোচনার মূল বিষয় হয়ে এসেছে৷ দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ‘জনসংখ্যার বিস্ফোরণ এখানে আরও বড় সমস্যা৷’

https://p.dw.com/p/OGEp
পাকিস্তান, Pakistan, Health, স্বাস্থ্য
ফাইল ছবিছবি: AP

‘এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি স্বাস্থ্যনীতি গড়ে তোলা উচিত, কেননা জনসংখ্যা সবকিছুকেই প্রভাবিত করছে' - মন্তব্য করেছেন হার্টফাইলের সভাপতি সানিয়া নিস্তার৷

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক আদমশুমারি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০০৬-২০০৭ অনুযায়ী, সে দেশের নারীদের গড়ে সন্তান আছে চারটি করে৷ এভাবে চলতে থাকলে দেশটির বতর্মান জনসংখ্যা, অর্থাৎ ১৮০ মিলিয়ন, ২০৫০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৫০ মিলিয়নেরও বেশি৷ আর পাকিস্তানের এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার সঙ্গে উন্নয়নের ধারাকে সমন্বিত করার জন্য বর্তমান বৃদ্ধির হার কমাতে হবে৷ নইলে প্রতিবছর শতকরা ১.৫৬ হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়৷

সর্বশেষ জাতীয় জনসংখ্যা নীতি ২০১০-এ, ২০১৫ সালের মধ্যে নারীদের সন্তান জন্ম তিনটির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী সর্বশেষ আদমশুমারি ভবিষ্যত বাণী করেছে যে, যথাযথ প্রজনন স্বাস্থ্যনীতির মাধ্যমে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২০৫০ সাল পর্যন্ত ৩৩৫ মিলিয়ন রাখা যেতে পারে৷ কিন্তু যেখানে পাকিস্তানের শতকরা ৮৪ জন নারীই আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেননি, সেখানে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷

কুলসুম বিবির বয়স ৩৮৷ তিনি মাত্র দু'টি সন্তান চান৷ কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেননি৷ তাঁর ধারণা জন্ম নিরোধক বড়ি ও ইনজেকশন ওজন বাড়িয়ে দেয়৷ শুধু কুলসুমই নন৷ তাঁর মতো পাকিস্তানের অনেক নারী ও পুরুষের ধারণা, জন্ম নিরোধক ব্যবস্থা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷ তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতিও এখানে বাধা হিসেবে কাজ করে৷ এছাড়া হাতের কাছে যখন তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের না পাওয়া, ওষুধের স্বল্পতা ও অদক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীরা নারীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন৷ এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকগুলোর দূরত্বও একটি বড় সমস্যা হিসেবে কাজ করে৷ সেখানে একজনকে ক্লিনিকে যেতে হলে গড়ে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়৷

এদিকে, নিরাপদ পরিবার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বপ্রথম ১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েদের বিয়ে ও মা হওয়া দুই-তৃতীয়ায়ংশ কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে সম্প্রতি একটি জরিপে উঠে এসেছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ